মিজান লিটন-
স্বামীর বিরুদ্ধে ডাঃ সীমার অভিযোগ
পরনারীতে আসক্ত হওয়াতে বাধা দেয়ায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে
***************
স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের হামলার শিকার হওয়ার কথা ডাঃ আহসান উল্লাহ বললেও তার স্ত্রী ডাঃ মাকছুদা আকতার ওরফে ডাঃ সীমা আহসানের কাছ থেকে শোনা গেলো অন্য রকম কাহিনী। তিনি উল্টো তার স্বামীর বিরুদ্ধেই পরনারীতে আসক্ত হওয়ার অভিযোগ আনলেন। ডাঃ আহসান অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্বামীর এ নারী পিপাসু চরিত্রে বাধা দেয়াই তার জন্য কাল হলো বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত ৪ অক্টোবর তার উপর অমানবিক নির্যাতন এ কারণেই বলে ডাঃ সীমা সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন।
গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাঃ আহসান ও ডাঃ সীমা আহসান নিজ বাসায় মারামরি করে উভয়েই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন শনিবার এ খবর স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারলে এ প্রতিবেদকসহ আরো ক’জন সংবাদকর্মী উভয়কে দেখতে হাসপাতালে যান। তখন হাসপাতালের ৩য় তলায় পেইং বেডে চিকিৎসাধীন ডাঃ আহসানের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ আনেন। এ পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় তার স্ত্রীর প্রেমিক জনৈক পাহাড়ী তাকে মারধর করে আহত করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি তখন স্ত্রীকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন। এরপর সাংবাদিকরা একই ফ্লোরে ৩০২ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন ডাঃ সীমা আহসানের কাছে যান। তখন তাকে বেশ মুমূর্ষু অবস্থায় দেখা গেছে। তার কাছে তখন তার তিনটি সন্তান, মা ও ছোট ভাই ছিলো। সাংবাদিকরা তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তখন তার হাত, মুখ ও মাথায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন। ডাঃ সীমা প্রথমে বলেন, ভাই আমি যে আজ সূর্যের আলো দেখবো তা ভাবিনি। আমাকে গতকাল সন্ধ্যায় তো আমার স্বামী মেরেই ফেলেছিলো। আমার ছেলে বাবার পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ায় আজ আমি সূর্যের আলো দেখছি। আমাকে পশুর মতো মেরে অজ্ঞান কর ফেলে রাখে। এরপর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। কী কারণে আপনার উপর নির্যাতন এর জবাবে ডাঃ সীমা বলেন, আমাদের বিয়ের পর থেকেই দেখি আমার স্বামীর সাথে একাধিক নারীর সম্পর্ক। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক কলহ হয়। বারবার পারিবারিকভাবে সমাধান হয় এবং সে (ডাঃ আহসান) মুচলেকা দিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যায়। যতোবার আমি তার পরকীয়ায় বাধা দিয়েছি ততোবার সে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। কার কার সাথে ডাঃ আহসানের পরকীয়া ছিলো ক’জনের নামও ডাঃ সীমা বলেন। সর্বশেষ প্রফেসর পাড়ার একজন নারীর সাথে ডাঃ আহসানের পরকীয়ার কথা বলেন সীমা। যার স্বামী বিদেশ থাকেন। এ পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সে আমাকে বেদম মারধর করে। পরকীয়ায় বাধা দেয়া ছাড়াও যৌতুক না দেয়ায়ও আমার উপর শারীরিক নির্যাতন করে। ঘটনার দিন সে (ডাঃ আহসান) আমাকে বেদম মারধর করে আমার গলায় ওড়না প্যাচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলানোর চেষ্টা করলে আমার তিন সন্তান কান্নাকাটি করলে এবং আমার ছেলে বাবার পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে সে আমাকে তখন ছেড়ে দেয়। আর পাহাড়ীর সাথে পরকীয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়ী আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু। তার (ডাঃ আহসান) দোষ ঢাকার জন্য আমাকে নিয়ে সে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।