শওকত আলী ॥
আদালতের রায়ে অপহরন করা অপহৃতা মেয়েকে মার জিম্মায় পাওয়ার পরও পুনরায় ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর ওয়ারলেস এলাকা থেকে মায়ের সামনেই মেয়েকে আবারো অপহরন করে নিয়ে গেছে অপহরণকারীরা।
এ সময় তারা মেয়ের মার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেয়। মেয়েকে না পেয়ে তার মা এখন আদালত সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি আদালতের কাছে স্কুল পড়–য়া মেয়েকে পাওয়ার জন্য সুবিচার চেয়েছেন।
চাঁদপুর ষোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীতে পড়–য়া ফারজানা আক্তারকে গত ২১ জুলাই ওয়ারলেস এলাকার আবু তাহের ও মমতাজ বেগমের ছেলে নিশান ফারজানাকে স্কুল যাওয়ার পথ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতার মা লিপি বেগম তার মেয়েকে পাওয়ার জন্য পুলিশসহ চাঁদপুর নারী ও শিশু আদালতে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক মোঃ মামুনুর রশিদ দু’ পক্ষের শুনানী শেষে মায়ের জিম্মায় মেয়েটিকে বুঝিয়ে দেন। অপহরন সংক্রান্ত নিউজটি জাতীয় পত্রিকা সহ স্থানীয় পত্রিকায়ও ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। ২২ তারিখ সকালে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম অপহৃতা ফারজানার মাকে ফারজানাকে থানায় নিয়ে আসার জন্য বলেন। সে প্রেক্ষিতে ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় আসার পথে নিশান শেখ, তার মা’ মমতাজ বেগম, দুলাভাই আলী আরশাদ ও মুক্তা সহ ৪জন ওয়ারল্যাছ এলাকা থেকে ফারজানার মাকে শারীরিক নির্যাতন করে ফারজানাকে টানাহিচরা করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর ফারজানার মা লিপি বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মেয়ের মা লিপি বেগম জানায়, তার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে অপহরন করার পরই তিনি খেয়ে না খেয়ে মেয়ে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন । তার আইনজীবীদের সহযোগিতায় মেয়েকে জিম্মায় পাওয়ার পরও অপহরনকারী নিশান শেখ, তার দুলাভাই আরশাদ, মা মমতাজ বেগম সহ তার আত্মীয় স্বজনরা আমার মেয়েকে পুণরায় অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার কামনা করছি।