স্টাফ রিপোর্টার: ঃ
চাঁদপুর নৌ-সীমানায় নৌ-সংরক্ষন আইন অমান্য করে কঞ্জারভেঞ্চি ফি- না দেওয়া ও সঠিক কাগজ পত্র না থাকায় ৬টি মালবাহী ষ্টিল বডি ট্রলারকে আটক করার নির্দ্দেশ প্রদান করেছেন, চাঁদপুর বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি.এর চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-সীমানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এমভি রাসেল,ছাত্তার,জহির,মায়ের দোয়া,ভান্ডারিয়া ও শরিয়তপুর নামক ট্রলারগুলোকে জব্দ ও ২৪জন শ্রমিককে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন।
বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি.এ ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নদী পথে যে সমস্ত নৌ-যান প্রতিদিন নিয়মিত চলাচল করছে । সে সমস্ত নৌ-যানের নৌ-পথ সংরক্ষন আইনে সঠিক কাগজপত্র আছে কি না, বা কঞ্জারভেঞ্চি ফি- সঠিকভাবে দিচ্ছে কিনা তার জন্য প্রতিমাসে নৌ-পথে অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। তারই অংশ হিসাবে গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় নৌ-যানে অভিযান পরিচালনা করে । এ সময় অর্ধশত নৌ-যানের বৈধ কাগজপত্র ও কঞ্জারবেঞ্চি ফি দেওয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ছেড়ে দেন। এ সময় অবৈধ ৬টি মালবাহী ষ্টিল বডি ট্রলারের কাগজপত্র ও কঞ্জারভেঞ্চি ফি- না দিয়ে নৌ-পথে চলাচল করায় ট্রলারগুলো জব্দ করে। ট্রলারে থাকা ২৪জন শ্রমিককে আটক করা হয়। আটককৃত ট্রলার চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে নৌ-বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামাল মোঃ রাশেদ প্রত্যেকটি ট্রলারকে ৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া আটককৃত ২৪ শ্রমিককে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয় বলে বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতিমাসের ন্যায় গতকাল বুধবার নৌ-পথে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৈধ নৌ-যানের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৬টি ট্রলারের বৈধ কাগজপত্র ও কঞ্জারভেঞ্চি ফি না দেওয়া ১৯৭৬ সালের নৌ-আইনের ৮১/২ ধারা বলে তাদেরকে আটক ও ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ট্রলার ছেড়ে দিলেও ২৪ জেলেকে কারাগারে প্রেরন করে।