চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চিতশী-শাহরাস্তির মধ্যবর্তী ১৫ নং ব্রীজ সংলগ্ন উনকিলা নামক স্থানে আন্তঃ নগর মেঘনা এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তরা পেট্রল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। চালকের বুদ্ধিমক্তায় অল্পের জন্য বেঁচে যায় সহস্রাধিক যাত্রী। এব্যাপারে চাঁদপর রেলওয়ে থানায় একাটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ট্রেনের চালক মোঃ সাহাবুদ্দীন ও সহকারী চালক মহিউদ্দিন জানান, চাঁদপুর-চট্ট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম-চিতশী থেকে ছেড়ে চাঁদপুর আসছিল। হঠাৎ রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ১৫ নং ব্রীজ সংলগ্ন উনকিলা নামক স্থানে আসলে একদল দুর্বৃত্ত ট্রেনটি লক্ষ করে পেট্রল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিকট আওয়াজ হলে চালক ট্রেনের পেট্রল বোমা নিক্ষিপ্ত স্থানটি লক্ষ করে দেখতে পান ইঞ্জিনের টেবিলে আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক চালক ট্রেনটি না থামিয়ে ইঞ্জিনে থাকা পানি নিক্ষেপ করলে আগুন নিভে যায়। যার ফলে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এতে করে ট্রেনে থাকা দক্ষিনাঞ্চলীয় যাত্রীসহ প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী প্রাণে বেঁচে যায়। ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে থাকা ট্রেনের বগির বিরশালগামী যাত্রী মোঃ জিয়া, মোঃ সোহাগ জানান, হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে ট্রেনের ভিতরে ছুটা ছুটি করতে থাকে। অনেকের ধারণা হচ্ছিল ট্রেনটিতে হয়তো বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশন মেহের থামার পর জানতে পারে দুবর্ৃৃত্তরা ট্রেনে পেট্রেল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেছিল। ট্রেনটি রাত ১০টা ৩৫মিনিটে চাঁদপুর স্টেশনে পৌছলে স্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উছমান গনি পাঠান, রেলওয়ে নিরাপত্তা ইনচার্জ আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ ইঞ্জিন ও ট্রেন পরিদর্শন করেন। এ সময় চালক সাহাবুদ্দীনের সাথে কথা বলেন এবং ইঞ্জিনটির যে স্থানে পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেছে সে স্থানটি প্রত্যক্ষ করে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। এব্যাপারে রেলওয়ে জি আর পি থানার ওসি জানান, ট্রেনটি চাঁদপুর আসার পর ট্রেনের চালকের সাথে কথা বলি এবং ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হই। তবে ট্রেনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে ছুটে যাই এবং তদন্ত সাপক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।