রফিকুল ইসলাম বাবু,
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হাঁপানিয়ায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে এলাকায় সংঘর্ষের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১০টায় আশিকাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার খান বাড়িতে। এতে মাদক সেবীরা কমপক্ষে ১০টি ঘর ভাঙচুর করে ১৫জনকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকিরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলায় স্বিকার হওয়া মতিন খান, ফাতেমা বেগম, শাহিদা বেগম, জাফর খান সহ আরো অনেকে জানান, আমাদের খান বাড়ির এলাকাটি নিড়িবিড়ি হওয়ায় আশিকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবীরা এ এলাকায় এসে মাদক সেবন করে। আমরাও তাদের মাদক না খাওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার বাড়ন করি। এতে তারা বারন শুনাতো দুরের কথা তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি দেয়। প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার ছিলো ঈদের দিন। ঈদের ছুটি থাকায় বাড়ির লোকজন সবাই বাড়িতে ছিলো। রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের হাঁপানিয়া, নন্দের বাড়ি, বৌদ্দের বাড়ি, গাজী বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার মিন্টু গাজী, আলম গাজী, মহসীন গাজী, তানজিল গাজী, মুজাম্মেল, হাছান গাজী, নয়ন গাজী, আনিছ, হোসেন, মো. রাজীব, আহসান সহ বেশ কয়েক জন এলাকায় মাদক সেবন করে। আমরা তাদের বারন করলে তারা আমাদের হুমকি দেয়। এক পর্যায় উল্লেখিত মাদক সেবীরা সহ প্রায় অর্ধশত লোকজন নিয়ে আমাদের খান বাড়িতে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, বাড়ি ঘর ভাঙচুরে, বাড়িতে থাকা লোকজনকে মারধর করে। তাদের হামলায় সিদ্দিক খান, জাফর খান, মিলন খান, আমির খান, ফাতেমা বেগম, মাসুদখান, রফিক খানের সহ প্রায় ১০টি ঘর ভাংচুর করে। হামলায় আহতরা হলো- আরিফ খান (৯), শাহিদা বেগম(৪০), আহাদ (৫), ফাতেমা বেগম (৭৫), শাহাদাত, মাহাবুব, মতিন খান, জাফর খান সহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহিদা বেগম ও আহাদের গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা আরো জানান, এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিল্লাল মাস্টার, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলাল মাল, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার লোকমান মুন্সিকে অগত করলে তারা বিষয়টি দেখবেন এবং সকালে খান বাড়িতে যাবেন বলে আশ^াস দিলেও ১বারের জন্য হলেও তারা খান বাড়িতে যাননি। এ বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল মাস্টার ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার লোকমান মুন্সির সাথে কথা বললে তারা তাদের ব্যাক্তিগত কাজের অজুহাতে এড়িয়ে যান।