শরীফুল ইসলাম
চাঁদপুর শহরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অলিতে, গলিতে উঠতি বয়সি যুবকদের আনা গনা লক্ষ করা যায়। প্রতিনিয়ত তাদের মাঝে ইয়াবার আগুন তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে এক শ্রেণীর যুবক-যুবতীরা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ইয়াবার জ্বরে লিপ্ত হচ্ছে। গোপন তথ্য থেকে জানা যায়, এসব উঠতি বয়সের যুবক- যুবতি, তরুণ-তরুনীরা মরণ নেশা ইয়াবা পেয়ে থাকে পাড়া- মহল্লার বড় ভাইদের কাছ থেকে। এখন প্রায় শহরের প্রতিটি মহল্লার যুব সমাজের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে মরণ আগুন ইয়াবা। এই মরণ নেশার টাকা জোগাতে যুবকরা লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধের সাথে। অতি সহজলভ্য এ মাদক সেবনের অর্থ যোগাতে তারা যে কোন অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করেনা। যে কারনে জড়িয়ে মরণ আগুনে ঝাপিয়ে পড়ছে যুবকরা। অভিভবকরা তাদেরকে শত বাধ্য বাধকতার মধ্যে রেখেও ফেরাতে পারেনি মরণ নেশা ইয়াবা নামক ভাইরাস জ্বর থেকে। মহামারি ভাইরাসের ঠেকাতে চাঁদপুরের সচেতন মহল্লার লোকজন জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছেন। যাতে করে চাঁদপুরের যুব সমাজ ইয়াবার আগুন থেকে রেহাই পায়। বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা ইয়াবা সেবনে অভ্যস্থ হয়ে পরছে। প্রতিনিয়ত এ মহামারি বড় আকার ধারন করছে। শুধু চাঁদপুর জেলার নয় প্রায় প্রতিটি উপজেলার গ্রাম গঞ্জের অলিতে গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা। এক শ্রেণীর নেতারা এসব নেশা দ্রব্য সেবন ও বিক্রির নেপথ্যে হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। এছাড়াও ইয়াবা চালানে রিক্সাওয়ালা, অটোবাইক, সিএনজি চালক, বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ছোট দোকানিদের মাধ্যমে ইয়াবার কার্যকলাপ চলছে। । বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধংশাত্মক কার্যক্রম সিন্ডিকেট চক্র অত্যান্ত শক্তিশালি করতে। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানাযায়, চাঁদপুর শহরের কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে প্রতিনিয়তই ইয়াবা বিক্রির উৎসব চলে। এসব স্থানে দিনের বেলায় ইয়াবা সেবিদের আনাগোনা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা যায় যুবদের আনাগোনা। ইয়াবা সেবন করার জন্য যে কোন উপায়ে এটি পাওয়ার জন্য ইয়াবা সেবিরা পাগল হয়ে উঠে। শহরের এসব চিহ্নিত স্থান গুলোর মধ্যে যেসব স্থানগুলোতে সন্ধ্যার পর যুবক শ্রেণীর হাট বসে তার মধ্যে রয়েছে, চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন, আউটার স্টেডিয়াম, বিটি রোড, জিটিরোড, কোর্ট সংলগ্ন সড়ক, প্রফেসার পাড়া, মাঝি বাড়ী রোডে চৌধুরী কবরস্থানের মোড়া, পশ্চিম বিষ্ণুদী গাজী বাড়ীর সামনে, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর পৌর বিপনিবাগ মার্কেট, ছায়াবানি মোড়, গাছ তলাব্রীজ,বড় ষ্টেসন, জামতলা, কালী বাড়ী রেল লাইন সংলগ্ন, নতুন বাজারের কদম তলা স্কুল সংলগ্ন, বঙ্গবন্ধু সড়ক, মমিন পাড়া,বাগাদি রোড, বাবুরহাট মতলব রোড, জিন্টু মাল মার্কেট,দর্জি ঘাট, ওয়ারল্যাস চৌরাস্তা মোড়, পুরাণ বাজারের কোহিনুর হলের সামনে,বৌ-বাজার, নতুন রাস্তা, নদী তীড়বর্তি এলাকা, সহ বেশ কয়েকটি শির্ষ স্থান রয়েছে ইয়াবা সরবরাহের আস্তানা।এ বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে এসব চিহ্নিত স্থান গুলোতে রাতভর চলে ইয়াবা বিক্রির মহা উৎসব। শুধূমাত্র বৃত্তশালিরাই নয় এ নেশা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সর্বস্তরের শিশু কিশোররা। শহরের ফ্লাট বাসা বাড়ীতে, আবাসিক হোটেল, নদীতে নৌকা ভ্রমনে, চরাঞ্চলে ইয়াবা সেবন নিরাপদ ভেবে থাকে ইয়াবা সেবিরা। এসব চিহ্নিত স্থান নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানিয় কয়েকজন সচেতন নাগরিক জানান, প্রতিদিন এসব স্থানে টহল জোরদার করা প্রয়োজন। সন্দেভাজনদের কয়েকজনকে আটক করা হলে তাদের কাছে অনায়াসেই পাওয়া যাবে ইয়াবা বা অন্যান্য মাদক পুলিশ মাদক সেবী ও বিক্রয়কারীদের ধরে কোর্টে পাঠালেও তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। মাদক বিক্রয় ও সেবীদের ক্ষেত্রে যদি একটু বিশেষ বিবচনা করে তাহলে মাদক সেবীরা হয়তো অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আসতো। এছাড়াও দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ী, ক্রয় ও বিক্রয়কারীদের থনায় ধরে আনলে শুরু হয় একের পর এক তদবীর। মাদক সেবীদের সহযোগীতা করতে সর্বোপরি প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহলের ভুমিকা রয়েছে। আর মাদকরোধ কল্পে সকল শ্রেনী পর্যায়ের লোকদের আন্তরিক ভাবে সহযোগীতার প্রয়োজন। এখন যে হারে এ নেশা যুব সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করে এক্ষুনি প্রদক্ষেপ গ্রহন কারা দরকার এমনটাই মনে করে সচেতন নাগরীক। আর এ ক্ষেত্রে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছেন শহরবাসী।
শিরোনাম:
শনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।