শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর পুরানবাজারে স্বনামধন্য মৌসুমী রাইস মিলের এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তা নকল করে পুরানবাজারে চাল পট্রি রাজলক্ষী ভান্ডারের মালিক সম্ভু নাথ সাহা লোকাল মিল থেকে চাল ক্রাসিং করে সে চাল বস্তায় ঢুকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যের ব্যান্ডের নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে চাল বিক্রি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরানবাজারের মনজিল রাইস মিলে ধান ভাঙ্গীয়ে এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তার ভিতরে সস্তা চাল ঢুকিয়ে সেগুলো চাঁদপুর, রায়পুর,লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। এর মধ্যে ৪৫ বস্তা চাল রাজলক্ষী ভান্ডারের গুডাউনে লেবারদের মাধ্যমে রক্ষিত রাখে। এভাবেই বিভিন্ন ব্যান্ডের বস্তা নকল করে তার ভাঙ্গানো চাল সেগুলোতে ঢুকিয়ে অবৈধ পন্থায় মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে হাজার হাজার বস্তা পাইকারী চাল বিক্রি করছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে রাজলক্ষী ভান্ডারে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী রাইস মিলের এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তা নকল করে চাল ঢুকিয়ে সারিবদ্ধভাবে মজুদ রেখেছে। এসময় সাংবাদিকরা নকল ব্যান্ডের ছবি তুলতে গেলে মালিক সম্ভুনাথ সাহা বাধা প্রদান করে। এবং পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। তার পাশের লক্ষী ভান্ডারের মালিক লিটন বনিককে সাথে নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করে। এ ব্যপারে রাজলক্ষী ভান্ডারের মালিক সম্ভুনাথ সাহা বলেন, বস্তা পট্রির পুরাতন বস্তা ব্যবসায়ী বাচ্চুর কাছ থেকে কম দামে বস্তা কিনেছি। সে বস্তায় মনজিল রাইস মিলে ক্রাসিং করা চাল ঢুকিয়ে সেগুলো বাইরে বিক্রি না করে দোকানে নিয়ে এসেছি। যদিও অপরের ব্যান্ডের বস্তায় চাল ঢুকানো সঠিক হয়নি। ভবিষৎ এ ধরনের কাজ করবো না।
এ ব্যপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার নিয়াজ মোঃ রেজাউল করীম জানান, ইতিপূর্বে এ ব্যপারে আমরা অবগত ছিলাম না। অন্যের নাম মোড়ক ব্যবহার করে পন্য বাজারজাত, বিপনন দন্ডনীয় অপরাধ। এটা সম্পূর্ন ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে সর্বোচ্চ ২লক্ষ টাকা জরিমানা ও দন্ডের বিধান রয়েছে। আমি ছুটিতে আছি চাঁদপুর এসে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বস্তা পট্রির বেশ কিছু ব্যবসায়ি জানায়, হরিসভার বাসিন্দা বাসুদেব সাহার ছেলে সম্ভুনাথ সাহা প্রতারনা করে অপরের ব্যান্ডের বস্তায় ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট ব্যবসায়ী থেকে এখন পুরানবাজারে চাল পট্রির বড় মার্চ্চেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে। অবৈধ ভাবে ব্যবসা করে সে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। সম্প্রতি শহরের গাঙ্গুলী পাড়ায় ৬ শতাংশ জমির উপর ৬ তলা ভবন নিমার্ন করছেন। এছারা শহরের বিভিন্ন যায়গায় নামে বেনামে বহু সম্পদ কিনেছেন তিনি। তার বেশকিছু ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। তাছাড়া পুরানবাজারের অবৈধভাবে রোজগারকৃত টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করে সেখানে বহু সম্পদ গড়ে তুলেছে।