শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী গ্রামে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তার (১৯) কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ঘটনায়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার আসামীদের বাঁচাতে দালাল চক্ররা হাসপাতালের ডাক্তারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে দেওয়ার জন্য ঘটনার প্রথম থেকে চেস্টা করেছে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ম্যেডিক্যাল অফিসার গত ১৫ নভেম্বর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তার আতœহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে টাকার বিনিময়ে আতœহত্যা বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন বলে নিহত রহিমা আক্তারের পরিবার অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় মামলার বাদি রহিমার বাবা আদালতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে পুনরায় আদালতের নিদেশ্যে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে কুমিল্লা অথবা ঢাকায় নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এই হত্যার অভিযোগে নিহত রহিমার বাবা আঃ হাই শেখ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় গৃহবধুর স্বামী আনোয়ার পাটওয়ারীকে প্রধান আসামী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা হবার পর থেকে আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৬ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ওই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর পাশের একটি বাগানের ছোট গাছ থেকে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। রহিমা আক্তার পাশ্ববর্তী বাগাদী ইউনিয়নের বড় শেখ বাড়ির আঃ হাই শেখের মেয়ে। সে ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজের এইছ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী। দেড় বছর আগে বালিয়া সাপদী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর জলিল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে স্বামী আনোয়ারের পরকিয়া সম্পর্কে কথা জানতে পারলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্বামীর চাহিদামত যৌতক না দেওয়ায় দুটি ঘটনা নিয়ে রহিমা আক্তারকে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করে গছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
শ্বশুর বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে মোজাম্মেল হোসেন পাটওয়ারী বাড়ীর পাশে একটি গাছে ঝুলিন্ত অবস্থায় এলাকাবাসি দেখতে পায়।