চাঁদপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় জাহেদা আক্তার মিশু (১৮) নামে গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার ঘাতক সুজন খানকে আটক করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের এক দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরমধুয়া গ্রাম থেকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
ঘটনার পরপরই ঘাতক সুজন খান ওই এলাকায় একটি বািেড়ত আত্মগোপনে থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
সোমবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর মধুয়া গ্রামে মৃত সেলিম মিয়া ব্যাপারী বাড়িতে প্রবেশ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গৃহবধূকে হত্যা করে।
নিহত জাহিদ আক্তার মিশু একই উপজেলার সন্তেষপুর কালিবাজার এলাকার দুবাই প্রবাসী সোহেলের স্ত্রী।
গৃহবধূ জাহেদা আক্তার মিশুকে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে লাশটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের মা সালেহা বেগম জানায়, তিন বছর পূর্বে মেয়ে মিশুকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে পাশের বাড়রি আবুল বাশার খানের বখাটে ছেলে সুজন খান তার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করার জন্য উত্যক্ত করতো।
তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় ও তার মোবাইল রিসিভ না করার কারনে ঘটনার দিন সকালে খুনি সুজন খান চাপাতি নিয়ে এসে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে কুপিয়ে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। মেয়রে ডাক চিৎকারে পাশের রুম থেকে দৌড়ে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী সুজন আমাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়।
আশেপাশের লোকজন দূরে আসলে দ্রুত খুনি সুজন ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরেই তাকে যখন অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার অবস্থা অবনতি দেখে ঢাকায় অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার পথে দাউদকান্দি যাওয়ার পর মেয়ে জাহেদা আক্তার শিমু করুন মৃত্যু হয়।
জাহেদা আক্তার শিমুর স্বামী বিদেশ থাকার সুবাধে সে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সন্ত্রাসী সুজন খান খবর পেয়ে তার বাড়িতে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সন্ত্রাসী খুনি সুজন খানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক এটাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।