স্টাফ রিপোর্টার: ॥
চাঁদপুরে গৃহিনী জাকিয়া বেগম (৩৫) নিখোঁজের ২১ দিনপর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার জেলার নবী নগর থানায় লশের ছবি দেখে সনাক্ত করে সন্ধান পায়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে গৃহিনী জাকিয়া বেগমের গলায় ওরনা পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবী নগর থানার ওই এলাকার একটি বিল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দূরর্বিত্তরা। পরদিন সেই বিল থেকে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে নবী নগর থানা পুলিশ । লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিবেবে লাশ দাফন করে। এই হত্যার ঘটনায় এখোন কোন থানায় হত্যা মামলা দায়ের পুলিশ না নেওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রীয়া সৃস্টি হয়েছে।
জানা যায়, নবী নগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সনাক্তের জন্য সারা বাংলাদেশে লাশের ছবি সহ বার্তা প্রেরন করে। গত ২ জানুয়ারি নিহত জাকিয়ার ছোট বোন চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রী করে। চাঁদপুর মডেল থানার এস আই জাকির নবী নগর থানা পুলিশের পাঠানো বার্তা প্রেরনকৃত ছবি পেয়ে জাকিয়ার পরিবারকে দেখান। তার পরিবারের লোকজন ছবি দেখে চিনতে পেরে মঙ্গলবার রাত ৭ টায় নবী নগর থানা গিয়ে লাশ সনাক্ত করে বলে জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম জানান। জাকিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় তার ছোট বোন চাঁদপুর মডেল থানা ও নবী নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য গেলেও পুলিশ মামলাটি এখোন নেয়নি।
পুলিশ ও জাকিয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুর দেড় টায় জাকিয়া বেগম চাঁদপুর থেকে নিখোঁজ হয়। তাকে হত্যাকারীরা প্রলোভন দেখিয়ে খবর দিয়ে নিয়ে নোয়া গাড়িতে উঠিয়ে নবীনগর নিয়ে যায়। সেই রাতে জাকিয়াকে গলায় ওরনা পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবী নগর থানার ওই এলাকার একটি বিল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় । তার পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ও বহু জায়গায় তাকে খোজাঁ খুজি করে তার কোন সন্ধান বা খোজ পায়নি। গত ২ জানুয়ারি তার বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় নিখোজঁ বলে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। সে আলোকে চাঁদপুর মডেল থানায় মঙ্গলবার একটি ফ্যাক্স বার্তা আসে ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবী নগর থানা থেকে। সে খবর পেয়ে জাকিয়ার পরিবারের ৭ সদস্য নবী নগর থানা গিয়ে লাশটি সনাক্ত করে। জাকিয়া চাঁদপুর শহরের গাঙ্গুলিপাড়া এলাকার শহীদ বেপারীর ওরপে শহীদ কবিরাজের স্ত্রী। তার ৩টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, নবী নগর থানা এলাকায় জাকিয়ার লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তার পরিবারের ৭ জন চাঁদপুর থেকে মঙ্গলবার নবী নগর থানায় গিয়েছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেছে। নবী নগর থানায় হত্যা মামলা না নেওয়া হলে. চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা নেওয়া হবে। তাকে যে দুটি মোবাইল থেকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়েছে। সেই মোবাইলের সুত্র ধরে প্রকৃত উদঘাটন চেষ্টা করা হবে।