স্টাফ রিপোর্টার: ॥
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তার মোঃ সাব্বির হোসেনের লাথির আঘাতে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ সুলতান পাটওয়ারী (৭৮) গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হসপাতালের ২য় তলার ১০৩ নং রুমে। এ ঘটনায় হাসপতালের তত্বাবধায়ক প্রদীপ কুমারের কাছে অভিযোগ করেছে বলে ওই বৃদ্ধ জানান। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও হাসপাতালের দায়িত্বশিল সূত্র থেকে জানাগেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের ঘাছিপুর গ্রামের বৃদ্ধ সুলতান পাটওয়ারীর সাথে এ বিষয়ে আলাপকালে তিনি জানান, বিগত দিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি চিকিৎসা নিতে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে টিকেট কেটে হাসপাতালের ২য় তলায় ১০৩ নং রুমে ডাক্তার মোঃ সাব্বির হোসেনের কাছে যাই সেখানে গেলে তিনি আমার রোগ সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা না করেই বিভিন্ন ঔষধ লিখে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে দেন। তখন আমি ডাক্তার ছাব্বির হোসেনকে জিজ্ঞেস করি আমার রোগ সম্পর্কে না জেনে কি ঔষধ দিলেন? এ ঔষদেতো কাজ হবে না। এ কথা বলার সাথে সাথে ডাক্তার সাব্বির রেগে গিয়ে বলেন আমি ডাক্তার না আপনি ডাক্তার? আপনি আমার চেয়ারে বসে ঔষধ লিখে দিন। ওই সময়েই হঠাৎ রেগে গিয়ে চেয়ার থেকে উঠে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেন। এতে আমি পড়ে গিয়ে আমার কোমর, হাত ও মাথা সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই। এ বিষয়টি আমি চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী ওচমান গণি পাটওয়ারীকে জানাই। তিনি আমার কথা শুনার পর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক প্রদীপ বাবুর সাথে ফোনে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন এবং আমাকে তত্বাবধায়কের সাথে দেখা করতে বলেন। আমি তত্বাবধায়কের সাথে দেখা করার পর তিনি ডাক্তার সাব্বির হোসেনকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করেন। ডাক্তার বিষয়টি অস্বীকার করে। তখন তিনি ডাক্তারকে আমার কাছে মাফ চাইতে না বলে এ ধরনের কাজ যেন আর না করে মুচলেকা রেখে হুশিয়ার করে দেন। তারপর আমি পুণরায় জরুরী বিভাগে টিকেট কেটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।
এ বিষয়ে ডাক্তার সাব্বিরে সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা অভিযোগ ও ভিত্তিহীন। প্রতিদিন ১শ’ ৫০ থেকে ২শ’ রোগী দেখি। রোগী সুলতান কাউন্টার থেকে ঔষধ নিয়ে আমার কক্ষের সামনে এসে আমাকে গাল মন্দ করে। এতে করে ওইখানে থাকা স্টাফরা রেগে যায়। তখন আমার রুমের স্টাফ দেলোয়ার হোসেন তাকে অন্য স্টাফদের হাত থেকে ঠেকায়। রোগীর মাথায় মানষিক সমস্যা আছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমি বিষয়টি মিথ্যে বলে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক প্রদীপ কুমার জানান, রোগী সুলতান পাটওয়ারী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। আমি তাৎক্ষনিক ডাক্তার সাব্বির হোসেনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে লাথি দেয়নি বলে জানান। তত্বাবধায়ক আরো বলেন, একজন ডাক্তার কোনদিন রোগীকে লাথি মারতে পারে এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতেছি এবং এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।