সংবাদদাতা॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ২ নং আশিকাঠী ইউনিয়নের এমএম নূরুলহক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন আক্তার(১৫) এর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে চাচার ঘরে আড়ার সাথে ওরনা লাগিয়ে গলায় ফাঁশ দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার দুপুর দেড় টায় আশিকাঠী ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামের মুন্সি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মেয়ের মা নূর নাহার ও তার পরিবারের লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যায়।
জানা যায়, হাফানিয়া গ্রামের মুন্সি বাড়ির কাদির মুন্সির মেয়ে শারমিন আক্তার শুক্রবার দুপুরে ভাত খাবার দেওয়ার জন্য তার মাকে বলে। তার মা নূর নাহার তাকে ভাত না দিয়ে ছোট ভাই ইমাম হাসানকে ভাত খেতে দিলে মা মেয়ের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে মেয়ে ঘর থেকে ভাত নিয়ে খেতে গেলে মা নূর নাহার এসে তাকে মারধর করে। পরে স্কুল ছাত্রী শারমিন মায়ের সাথে অভিমান করে চাচা ইউছুফ মূন্সীর ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁশ দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে বাড়ির মানুষ জানিয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এটি আতœহত্যা নয় হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এমএম নূরুলহক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন আক্তারের সাথে পাশের বাড়ির একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মা নূর নাহার জানতে পেরে মেয়েকে বেদম মারধর করার পর তার করুন মৃত্যু হয়েছে।
মেয়ের মা নূর নাহার জানায়, আমার মেয়ে ২ দিন না খাওয়ায় সে ঘরের বাইরে ঘুরে পরে মারা যায়। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আপনারা এখান থেকে চলে যান।
এদিকে ২ নং আশিকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল মাস্টার জানায়, ভাত খাওয়া নিয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করায় মা তাকে শাষন করলে সে অভিমান করে চাচার ঘরে গলায় ফাঁশ দিয়ে আতœহত্যা করে। এই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কেন এর দায়বার আমরা নিতে যাবো।
খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই নূরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন।