স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর শহরেরর স্টেডিয়াম রোডের সোনালী সিড়ি গেইটের সোনালি সিড়ি বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায় পরকীয়ার টানে নিজ স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার চেষ্ঠা করে জানিবুল হক সোহাগ।
ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরনে জানা যায়, রবিবার রাতে মতলব বাইশপুর এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী জানেবুল হোসেন সোহাগ দীর্ঘ ৮ মাস ধরে সোনালী সিড়ি বিল্ডিংয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু এ বাসায় সে একাই থাকতো। তার বিবাহিত স্ত্রী সদর উপজেলার আশিকাটি হোসেনপুর এলাকার মতিন মজুমদারের মেয়ে তাছলিমা আক্তার তার ৫ বছরের শিশু পুত্র আব্দুর রহমান তোহাকে নিয়ে মতলবে তার শশুর বাড়িতে থাকতো। ৬ বছর পূর্বে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের দু’ বছর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল। বিবাহের পূর্বে সোহাগের সাথে হেনা আক্তার নামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
জানা যায়, সেই মেয়ে বর্তমানে নারায়নগঞ্জ ভুইঘর এলাকায় বিউটি পার্লারের ব্যবসা করছে। তার ঘরেও স্বামী ও একটি ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। বর্তমানের সোহাগ তার পুরোনো প্রেমীকার সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাঝে মধ্যে তার প্রেমীকাকে নিয়ে চাঁদপুর শহরের ভাড়াটিয়া বাসায় দিন যাপন করতো। এ খবর তার স্ত্রী ও বাবা- মা জানতে পেরে তার বাসায় এসে তার সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরে তার স্ত্রীকে রেখে তার বাবা মা চলে যায়। এ ঘটনায় সোহাগ রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে মারধর করতে থাকে এবং একপর্যায়ে গলা টিপে হত্যার চেষ্ঠা করে। স্ত্রী তাছলিামার ডাক চিৎকারে পাশের ভাড়াটিয়ারা তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে এলাকার কমিশনার হাবীবুর রহমান দর্জী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ তাছলিমা ও সোহাগের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজন সহ মিলিত হয়ে তাদের সম্মতিক্রমে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে এসআই আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে এসে ছেলে মেয়ে উভয়ের বক্তব্য শুনে সোহাগকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।