চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেছেন, পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনরোধে বিগত ২ মাসে ৫৫৮টি মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। ৩শ’ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে এবং ২ কোটি মিটার কারেন্টজাল আটক ও ধ্বংস করা হয়েছে। প্রকৃত জেলেদের হালনাগাদ তালিকা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ভার্চুয়াল মাসিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি করে চাউল দেয়া হয়। যা তারা ঠিকমতো পায় না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ না আসে সেজন্যে তিনি প্রস্তাব দেন চাল নয়, কৃষকদের মতো নগদ অর্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জেলেদের দেয়া যায় কি না সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরির অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, জাটকা নিধনে অনেক জনপ্রতিনিধি জেলেদের সহায়তা করেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা অনেকে জাল, নৌকা অথবা উৎসাহ প্রদান করে জেলেদের নদীতে নামান।
তিনি বলেন, আগামী মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের আগে জেলেদের হালনাগাদ তালিকা প্রদান করতে হবে। কোনো অপ্রকৃত জেলে এই তালিকায় থাকতে পারবে না। মৃত জেলেদের নাম বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন, জেলেদেরকে খাঁচায় মাছ চাষে উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/