শওকত আলী ঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় চাঁদপুরে আজ ২৬ আগষ্ট চাঁদপুর জেলার বিএস ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুরের ৮টি উপজেলা ঘুরে ল্যান্ডের মালিকদের সাথে সরেজমিনে আলাপকালে ভূক্তভোগী ভূমির মালিকরা তাদের এ মোকদ্দমায় অংশ গ্রহন করতে পারেনি বলে তাদের অভিমত ব্যাক্ত করেন। গত ১ বছর পূর্বে এ বিএস ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমার সময় শেষ হয়ে গেলে সরকার এদেশের জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়ের স্বার্থে ১ বছর সময় বৃদ্ধি করেছিল । তখন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভূক্তভোগীরা আরো বেশী সময় বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিল। এতে সরকার যে ১ বছর সময় বৃদ্ধি করেছিল তা অতি নগন্য হয়েছে বলেই অনেকেই তখন তাদের মত প্রকাশ করেছিলেন। এ বিএস ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমায় অংশ গ্রহন করতে না পারার পেছনে কারনগুলো জানতে গিয়ে জানা গেছে,অনেক ভূমির মালিক প্রবাসে থাকার কারনে তারা সরকার কর্তৃক গত ১ বছর সময় বৃদ্ধির ব্যাপারটি জানেনি। অনেক ভূমির মালিক কম শিক্ষিত হওয়ায় এ সময় সীমা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে খবরই পৌছেনি বলে তারা জানায় । আবার অনেকে বলেছেন ,তাদের পারিবারিক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সঠিক কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে না পারায় তারা,এসব মোকদ্দমা অংশ গ্রহন করতে পারেনি। তাই ৮টি উপজেলার শত শত ভূক্তভোগী ভূমির মালিক বিএস ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমার সময় সীমা বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে আকূল আবেদন জানিয়েছে। তা না হলে তারা তাদের ন্যার্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের আকুতি সরকার আগামী ১ বছর সময় সীমা বৃদ্ধি করলে তাদের উক্ত মোকদ্দমাটির সময় বারিয়ে উক্ত মোকদ্দা দায়ের করতে পারে তার জন্য আরও সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে ভূক্তভোগী জনগন মনে করেন। এ সময় বৃদ্ধি হলে মোকদ্দমা অংশ গ্রহন করে বিএস খতিয়ানে তাদের সঠিক জমির পরিমান লিপিবদ্ধ করতে পারবে। ল্যান্ড সার্ভে মোকদ্দমায় বিএস সইমহুরী নকল এবং মূল দলিল বা সইমহুরী ও বিএস,এসএ সইমহুরী নকল সংগ্রহ করতে না পারায় উক্ত মোকদ্দমা দায়ের করতে ব্যার্থ হয়েছে ভূক্তভোগীররা । এ মোকদ্দমার সময় বৃদ্ধি না করা হলে বিএস ল্যান্ডে জরিপের সময় যে ভূল হয়েছে,তা ভূলই থেকে যাবে। এতে করে ল্যান্ডের প্রকৃত মালিকদের সাথে ভূল রেকর্ড হওয়া ব্যাক্তিদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টির কারনে দেশের আইন শৃংখলা অবনতি আশংকা বৃদ্ধি পাবে।