গরু মোটা তাজা করনে ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহৃত হওয়ায় এবারের ঈদে চাঁদপুরে ক্রেতাদের মাঝে বেড়েছে চিকন গরুর কদর।
অন্যান্য বছর সবাই যেখানে রুস্ট পুস্ট মোটাতাজা গরুর প্রতি আকৃস্ট হতে দেখা গেছে, সেসব ক্রেতারা এবার চিকন গরু ক্রয়ের দিকে ঝুকছেন। সাবর মাঝে এখন আলোচনা শুধু কোরবানির গরু ক্রয় নিয়ে। এর মধ্যে সবাই একে অপরকে মোটাতাজা গরু ক্রয়ে সাবধান করছেন। কারণ হিসেবে এসব সচেতন মহল ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা যে হারে গরুকে মোটাতাজা করনে ষ্টেরেয়েড, ডেস্কামেথাসিন জাতীয় ঔষধ খাওয়াচ্ছেন। তাতে করে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এসব ঔষধ প্রয়োগের ফলে কেন্সার সহ বড় ধরনের সাস্থ্য ঝুকির নিশ্চিত সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই এবারের কোরবানির ঈদে ক্রেতারা মোটাতাজা গরু কেনা থেকে বিরত থাকবেন বলে ধারনা করছেন অনেকেই। ফলে অন্যান্য বছর যেসব চিকন গরু বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হতো না, এবার ক্রেতারা সেসব চিকন গরুই বেসি কিনতে পারেন।
সাধারণ জনগনের সাথে একাত্বতা পোষন করে এবং এর ক্ষতিকারক দিক উল্লেখ করে গত আইন শৃঙ্খলা সভায় এমন ধারণা পোষণ করেছিলেন সয়ং চাঁদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় তিনি বলেন, তথ্যমতে গরুকে মোটাতাজা করনে যে ধরণের ক্ষতিকারক ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে , ঐসব ঔষধের প্রভাবে মানবদেহে যে রোগ দেখা দিবে তা কাটিয়ে উঠতে প্রায় ৬০ বছর লেগে যাবে। আর তাই এবার আমি নিজেই মোটাতাজা গরু ক্রয় থেকে বিরত থাকবো এবং তুলনামুলক চিকন গরুই কিনবো। এ সময় তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সতর্কতা সংকেত হিসেবে জনগনকে মোটাতাজা গরু ক্রয় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান, উপস্থিত সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা ও বিশেষ করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে। এছাড়াও তিনি বলেন, এবারের ঈদে ক্ষতিকারক ঔষধ ব্যবহার করা গরু চিহৃত করনে একটি বিশেষ টিম গরুর বাজারে কাজ করবে।
উল্লেখ্য ইতোমধ্যে প্রাণীসম্পদ ফার্মেসীর পাশাপাশি যেসব বড় ফার্মেসীগুলো এসব ঔষধ বিক্রি করে থাকে তাদের বরাবরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার স্বারিত ষ্টেরেয়েড জাতীয় ঔষধ বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে নিতিমালা তৈরীর সুপারিশে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে প্রতি প্রদান করা হয়েছে। কমিটির সদস্যগন ষ্টেরেয়েড জাতীয় ঔষধ ও অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরন বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা ও নীতিমালা প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল বেশ উদ্দিগ্ন, তাই তারা মনে করেন ফরমালিন বিরোধী অভিযানের ন্যায় ষ্টেরেয়েড জাতীয় পশু বিক্রি ও পালন বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা করা জরুরী।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।