রফিকুল ইসলাম বাবু । চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকায় বিষাক্ত খাবার ও স্প্রে ব্যবহার করে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্প্রের প্রভাবে একই এলাকার দু’বাড়ির ১৬ জন অচেতন হয়েছেন। রোববার রাতে কলোনীর সেলিম জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন সাদিয়া ভিলা, ৩৯৬নং হোল্ডিং (বাসার নাম নেই) এঘটনাঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় বর্তমানে তারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।অচেতন হওয়া ব্যাক্তিরা হচ্ছেন ওই বাসার ভাড়াটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল করিম (৫৮), তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫২), ছেলে কামরুল হাসান (২৪) কামরুলের স্ত্রী হাসনা আক্তার (২১), আব্দুল করিমের নাতি নাহিদ হাসান (১৩) ও ইমান হোসেন (১১), দেলোয়ার হোসেন খান (৮০), রেজাউল করিম মানিক (৪৮), কাব্য (১৮), যোবায়ের (৭) আক্তাউর রহমান (৪০) সাইফুল ইসলাম কাকন (৩৮), রাফি (৬), সীমা (২৫), রূপা (১৯), রাজিয়া বেগম (৫০)। আব্দুল করিমের মেয়ের জামাতা মোর্শেদ আলম বলেন, ব্যাংক কলোনীর ওই বাড়ির নিচ তলায় তারা ভাড়া থাকেন। শনিবার তার শ্বশুর ব্যাংক কলোনী থেকে ব্রয়লার মুরগী ক্রয় করে বাসায় আনলে ওই দিনই মুরগী পাক করে অর্ধেকটা পরিবারের সকলে খান। বাকি অংশ রবিবার রাতে খাবারের জন্য চুলার মধ্যে গরম করতে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। ওই সময় কোন চক্র তাদের খাবারের সাথে বিষক্রিয়া মিশিয়ে দেয় বলে তারা ধারনা করছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সকলে মুরগী দিয়ে রাতের খাবার গ্রহণ করার পর পর্যায়ক্রমে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে ওই বাসার অন্য লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। ৩৯৬নং হোল্ডিংয়ের অচেতন রেজাউল করিম মানিকের স্ত্রী জানায়, দেলোয়ার হোসেন খান রাতে তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামেন। পরবর্তীতে ঘরে গিয়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। অন্যদের সহযোগিতায় আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অচেতন হওয়া অন্যদের থেকে দেলোয়ার হোসেন খানের অবস্থা বেঘতিক দেখে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সকলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাবারের মধ্যে বিষক্রিয়া থাকলে এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পর্যবেক্ষণের পর তাদের অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৬ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।