স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে পদ্যপ পান করে সিআইডি ইন্সপেক্টর মরমনসিং ত্রিপুরা কর্তৃক ৩ রিক্সা চালককে প্রহৃত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত ৩ রিক্সা চালক সোমবার রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১ টায় শহরের কোর্ট স্টেশন পুলিশ বক্সের সামনে। রিক্সা চালকদের সাথে আলাপকালে ও প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানান, চাঁদপুর শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় ৩ রিক্সা চালক মোঃ মনির হোসেন সর্দার (৪০), আকির উদ্দিন (৩৫) ও মোঃ হানিফ মিজি হানিফা (৬০) যাত্রী পারাপারের জন্য পুলিশ বক্সের সামনে রিক্সা নিয়ে বসেছিলো। এ সময় হঠাৎ চাঁদপুরে শহরে সিআইডি ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মরমনসিং ত্রিপুরা মদ্যপ পান করে রিক্সা চালকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে সে রিক্সা চালকদের শরীরে, ঘাড়ে, নাকে, মুখে স্বজোড়ে কিল, ঘুষি, চোয়ার ও থাপ্পর মেরে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত রিক্সা চালকদের তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান মোঃ ওমর ফারুক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশ্রাম থাকার জন্য নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ব্যাপারে ৬০ বছরের বৃদ্ধ হানিফা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন সন্তান হারিয়ে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। কোন অপরাধ না করার পরও আমাকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেছে, আমি এর বিচার চাই। রিক্সা চালক মনির হোসেন জানান, আমি ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সেলিম চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই। পেটের তাগিদে ও সন্তানদের বাঁচানোর জন্য রাতে রিক্সা চালাই। আমাকে বিনা দোষে পিটিয়ে আহত করে। আমি এখন ব্যাথা ও যন্ত্রণায় ভোগছি। ঔষধ কিনার টাকা নেই। তাই আমি এই পুলিশ কর্মকর্তার বিচার চাই। শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকায় রিক্সা চালক আকিল উদ্দিন জানান, মানুষের কাছে শুনেছি আমাদেরকে যিনি পিঠিয়েছেন তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ এসে এভাবে রিক্সা চালক ও সিএনজি চালকদের আহত করে। এর পূর্বেও ছায়াবানীর মোড়ে বিদেশী এক রিক্সা চালককে হঠাৎ করে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর দিয়ে কান ধেন্ধা করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য এর পূর্বেও এ কর্মকর্তা শহরের শিল্পকলা একাডেমীর সামনে চা দোকানদারকে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে আহত করার পর তার বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরও তার স্বভাব চরিত্র বদলায়নি। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সে এভাবে তার ইচ্ছামত রাতের বেলা শহরে মদ্য পান করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং যাকে ইচ্ছা তাকেই মারধর করছে। চাঁদপুর সচেতন জনগণ তাদের মত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, পুলিশ সুপার এ বিষয়টি দৃষ্টি দিলেই এর সমাধান আবশ্যক।