শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরে হোটেলগুলাতে পতিতা ব্যবসা বন্ধে পুলিশের নজরদারী বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে বেছে নিয়েছে দালালরা। চাঁদপুর ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর কেবিন ভাড়া নিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় মিতালী-৪ লঞ্চের ২টি কেবিন থেকে স্কুল ছাত্রী ও প্রবাসীর স্ত্রী সহ ৪ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আটককৃতদের মধ্যে ফরিদগঞ্জ উত্তর কেওরার জিন্নাহ মিয়ার ছেলে আরিফ (২২) কে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ফরিদগঞ্জ শোল্লা গ্রামের সেকান্দরের ছেলে আলমগীর (৩৫ কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, চাঁদপুর ঢাকাগামী যাত্রী বাহী মিতালী-৪ লঞ্চে প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক-যুবতী, কিশোর কিশোরী কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রী পতিতা খদ্দররা কেবিন ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট রাশেদ মোঃ কামাল নৌ পুলিশকে সাথে নিয়ে মিতালী-৪ লঞ্চের কেবিনগুলোতে অভিযান চালায়। এসময় প্রবাসীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার সাথে আলমগীরকে ও স্কুল ছাত্রী পপি (১৭) সাথে আরিফ হোসেন সহ আটক করে নৌ পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে ১ জনকে ২ হাজার টাকা ও অপরজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।
একটি সূত্র জানায়, এসব যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর কেবিনে অভিযান চালালে প্রতিদিন এ ধরনের অসংখ্য পতিতা খদ্দর, যুবক-যুবতী, কিশোর কিশোরী কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের আটক করা যাবে। সম্প্রতি এসব ঘটনা ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। লঞ্চের কেবিন বয়, লস্কররা ভ্রাম্যমান পতিতাদের এনে দালালীর মাধ্যমে রমরমা দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চাঁদপুরের হোটেলগুলোর মতো ঢাকা-চাঁদপুর ও চাঁদপুর-বরিশালগামী লঞ্চগুলোতে অভিযান চালালে এ ধরনের অপকর্ম অনেকাংশে কমে আসবে বলে সচেতন মহলের অভি