শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের লালদিয়া গ্রামে স্কুল ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে আলআমিন (২১) নামে এক যুবককে আটকে রেখে ৩দিন ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৭০ হাজার টাকা রফাদফা করে অবরুদ্ধ থাকা যুবককে অবশেষে ছেরে দেওয়া হয়। স্কুৃল ছাত্রী নির্যাতনের ভূয়া অভিযোগ দিয়ে আলআমিনকে রফাদফার পর পুনরায় তার বাড়ি থেকে পুলিশের মাধ্যমে আটক করে নিয়ে আসার পর মূল ঘটনা ফাঁশ হয়ে যায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মতলব দক্ষিনে পাইকরাস্তা প্রধানিয়া বাড়ির মানিক প্রধানিয়ার ছেলে আলআমিন দীর্ঘ ১ বছর যাবত মোবাইল ফোনে আশিকাটি ইউনিয়নের লালদিয়া গ্রামের জানি শেখ বাড়ির শাহাজাহান শেখের মেয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী শাহানাজের সাথে প্রেমের সর্ম্পক্য গড়ে ওঠে। বৈশাখ উপলেক্ষ গত রবিবার যুবক আলাআমিন শাহানাজকে সাথে নিয়ে শহরের মোলহেডে ঘুড়তে আসে। রাত ৯ টায় সে তার প্রেমিকা শাহানাজকে সিএনজি দিয়ে বাড়িতে দিয়ে আসার পথে ময়দান খোলা ভূইয়া বাড়ির সামনে গেলে মেয়ের আত্বিয় স্বজনরা তাকে ধরে মারধর করে। পরে তাকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে বদ্ধ করে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আলআমিনের পরিবারে লোকজন মেয়ের বাড়িতে গেলে শালীশি বৈঠক শুরু হয়। মেয়েকে ছেলের সাথে বিয়ে দিলে ছেলেকে ছেড়ে দিতে স্থানীয় দালাল চক্ররা প্রস্তাব করে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের ১৮ বৎসর ভূয়া সার্টিফিকেট নিয়ে আসলে স্থানীয় কাজী তা জানতে পেরে বিয়ের কাজে অপরাগত স্বিকার করে। পরে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলফু খান ও আশিকাটির রাজনৈতিক দলের নেতা রাজ্জাক ভূইয়া বুধবার রাতে ছেলের পরিবারের কাছ থেকে রফাদফা করবে বলে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করে। পরে ১০ হাজার টাকা রাজ্জাক ভূইয়া প্রদান করে বাকি টাকা পরিষদের জন্য ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। সেই টাকা রাজ্জাক ভূইয়া মেয়ে পক্ষকে না দিয়ে নিজে আত্বসাৎ করায় মেয়ের পরিবার থানায় এসে নির্যাতনের ভূয়া অভিযোগে দায়ের করেন। বুধবার রাতে মডেল থানার এসআই ওমর ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ছেলের বাড়ি থেকে আলাআমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এসময় মেয়ে শাহানাজ পুলিশকে জানায়, তার সাথে দীর্ঘ ১ বছর প্রেমের সর্ম্পক্য ছিলো। বৈশাখ উপলক্ষে তার সাথে ঘুড়তে যাওয়ায় আমার পরিবারের লোকজন আলামিনকে ধরে নিয়ে আসে। তার সাথে আমার কোন অবৈধ সর্ম্পক্য ছিলো না।
এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ অবশেষে ছেলে মেয়েকে অবশেষে তাদের পরিবারের কাছে জিম্মায় তুলে দেয়।
এ ব্যপারে চাঁদপুর মডেল থানার তদন্ত ওসি মহিউদ্দিন জানায়, কিশোরী নির্য়াতনের একটি ভূয়া অভিযোগ দায়ের করে। ছেলে মেয়েকে থানায় নিয়ে আসার পর নির্য়াতনের কোন ঘটনা তারা স্বীকার করেনি। শুধুমাত্র দালাল চক্ররা তাদের পকেট ভাড়ি করতে মেয়ে পক্ষ দিয়ে থানায় ভূয়া অভিযোগ দায়ের করেন।