স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে ৭ম শ্রেনিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী অপহরনের ২ মাস পর মডেল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সোমবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম শহরের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে অপহৃতা ফারজানা আক্তার (১৩) কে উদ্ধার করে। পরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করা হলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ বিকেল ৫টায় অপহৃতা ফারজানা আক্তারের মা’ লিপি বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফারজানাকে তার মায়ের জিম্বায় হস্তান্তর করে। অপহরন মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট সেলিম আকবর ও এডভোকেট চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম। মামলার অপহরন আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সে গত ২১ জুলাই সদর উপজেলার মৈশাদী এলাকার মির্জাপুর নামক স্থান থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় অপহরন হয়। অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর পিতা ফরিদ গাজী প্রবাসে থাকায় তার মা লিপি বেগম গত ২৯ জুলাই তার মেয়ে অপহরন হয়েছে বলে চাঁদপুর মডেল থানায় একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে নিশান শেখ (২৪) কে প্রধান আসামী করে, নিশানের বাবা আবু তাহের শেখ, মাতা মমতাজ বেগম কে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে আসামীরা পলাতক থেকে গত প্রায় ২ মাস পর, সোমবার অপহৃতা ফারজানাকে উদ্ধারকৃত স্থানে ছেড়ে দিয়ে অপহরণকারীরা পুলিশকে মুঠো ফোনে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে গত ২৮ জুলাই আবু তাহের শেখ তার ছেলে নিশান শেখ নিখোঁজ রয়েছে মর্মে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে। এ সংবাদটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এর পূর্বেই ২১ জুলাই নিশান শেখ তার বাবা মায়ের সহযোগীতায় ফারজানাকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।