শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর আবাসিক হোটেল গুলোতে পতিতা ব্যবসা,মাদক ব্যবসা সেবন ও অপরাধ কর্মকান্ড পূর্বের চেয়ে বেড়েই চলেছে। অপরাধীরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে আবাসিক হোটেল গুলোতে অবস্থান করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে ও অপরাধীদের ধরতে গত মঙ্গলবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালত চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট রাশেদ মোঃ কামাল,জেলা মার্কেটিং অফিসার নিয়াজ মোঃ রেজাউল করিম পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে। ভ্রাম্যমান আদালত শহরের চৌধুরী মসজিদ সংলগ্ন হোটেল তাজমহল,চৌধুরী ঘাট নিউ শ্যামলী, শ্যামলী হোটেল সহ বেশ কয়েকটি হোটেলে তল্লাশী চালায়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা পূর্বেই হোটেল থেকে পালিয়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট রাশেদ মোঃ কামাল জানায়, হোটেল গুলোতে অনৈতিক কাজ বন্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে হোটেল গুলোতে সব ধরনের অপকর্মে বন্ধে জেলা প্রশাসন নিরলস ভাবে ক্জ করবে। ধারাবাহিকভাবে হোটেলগুলোতে ঝটিকা অভিযান চালানো হবে। যদি কোন অপরাধি ও অনৈতিক কাজে কাউকে ধরা হয় তাদের সাথে হোটেল মালিক ও ম্যানাজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরে জে এম সেনগুপ্ত রোডস্থ পূরবী মার্কেটের ৩য় তলায় হোটেল শেরাটন,রজনীগন্ধা,তাজমহল, কালীবাড়ি শরিয়তপুর আবাসিক হোটেল, হকার্স মার্কেটের সামনে প্রিন্স হোটেল, সরকারী কলেজ সংলগ্ন হোটেল আকবরি, বিটি রোড হোটেল আল রাশিদা ও হোটেল আল রাজিবে অনৈতিক কর্মকান্ড সংঘঠিত হয়। এর পূর্বে উল্লেখিত হোটেলগুলোতে পতিতা খদ্দর, স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী,পরকিয়া প্রেমিক প্রেমিকাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। পুলিশের অভিযান নিস্তেজ হওয়ায় আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠেছে এসব অপরাধীরা।