স্টাফ রিপোর্টার: ঃ
চাঁদপুরে ২দিনে রেলওয়ের লীজকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্তৃপক্ষ দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা বন্ধ করে সীল গালা করে দিয়েছে। গত সোম ও মংগলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় এষ্টেট অফিসার (ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা) ইসরাত রেজার নেতৃত্বে রেলওয়ের একটি টিম এ অভিযান করেন। রেলওয়ে ব্যাবসায়ীদের নিকট ৯ কোটি টাকা পাওনা থাকলেও ২দিনের অভিযানে ১০লক্ষ টাকা আদায় করেছে,বলে নিশ্চিত করেন কাননগো লাকসাম আবুল খায়ের। এ সময় রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী আইন শৃংখলার দায়িত্ব পালন করেন। টাকা পরিশোধ করায় ১০টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের তালা বন্ধ করা সীল গালা খুলে দেওয়া হয়। এ নিয়ে লীজকৃত বৈধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
রেলওয়ে চট্টগ্রাম ও লাকসামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ও কানুনগো আবুল খায়ের জানান,বাংলাদেশ রেলওয়ের এষ্টেট বিভাগ চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায় লীজকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিকট ৯ কোটি টাকা বকেয়া লীজ বাবদ পাওনা রয়েছে। গত ৭দিন যাবত রেলওয়ের লাকসাম কাচারীর পক্ষ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য মাইকিং করা হয়। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় এষ্টেট অফিসার বকেয়া পাওনা বুঝে নিবেন বলেও বলা হয় । তা’না হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বকেয়ার জন্য তালা বন্ধ করে সীল গালা করে দিবেন বলেও মাইকিং করে জানান। ৭ দিন সময় দেওয়ার পরও বকেয়া পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইসরাত রেজা বকেয়া আদায়ের জন্য মাঠে নামতে বাধ্য হয়। গত সোম ও মংগলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এষ্টেট অফিসার ইসরাত রেজার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের ১টি টিম,স্থানীয় কর্মকর্তা ও চাঁদপুর-লাকসাম, রেলওয়ের জি.আর.পি পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সাথে নিয়ে অভিযান করেন। গত ২দিনে শহরের বড় ষ্টেশন, মাছঘাট ৩নং কয়লা ঘাট,৫নং ঘাট,বকুলতলা,হকার্স মার্কেট ও কোট ষ্টেশন এলাকায় শত শত লীজকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান করে তারা ১০ লক্ষ টাকার ব্যাংক ড্রাফের মাধ্যমে বকেয়া আদায় করেন বলে লাকসামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান। অভিযানকালে বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা বন্ধ করে সীল গালা করে দিয়ে চাবি নিয়ে যান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লীজকৃত বকেয়া পাওনার জন্য তালা বন্ধ করা হলেও অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনরুপ ব্যবস্থা গ্রহন ও তালাবন্ধ না করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বৈধদের বকেয়ার জন্য তালা বন্ধ রয়েছে অথচ অবৈধ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে যাচ্ছে আনন্দের সাথে। যা, নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সূষ্টি হয়। উপরদিকে শহরের বকুল তলায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাব্বির ছৈয়ালের কাছে রেলওয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা বকেয়া পাওনা থাকলেও ঐ ব্যবসায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্টার খুলে ফেলে অভিযানের খবর পেয়ে। যার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে চলে যায়। গতকাল মংলবার রেলওয়ের কর্মকতারা বকেয়া খাজনা আদায় করতে গিয়ে মারাতক হুমকির মধ্যে ছিল। তাদের সাথে স্থানীয় কর্মকর্তা চাঁদপুর-লাকসাম- রেলওয়ের জি.আর.পি পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনী না থাকলে তারা বড় ধরনের দুর্ঘটনার শীকার হওয়ার আশংকা ছিল। ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর অভিমত চাঁদপুর শহরে রেলওয়ের জায়গায় শত-শত অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শত-শত বাসা বাড়ি রয়েছে। রেলওয়ে সে সব ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা কেন। এমন ও বহু ব্যক্তি রয়েছে যাদের চাঁদপুর শহরে বহুতলা ভবন থাকার পরও রেলওয়ের জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে লাভবান হচেছ। রেলওয়ের পক্ষ থেকে কয়েক বছর পূবে ১২৪টি বাসার বিরুব্দে মামলা হলেও সে মামলাটির কোন অগ্রগতি আজও দেখা যায়নি। বর্তমানে শত-শত বাসা অবৈধ ভাবে নদী ভাংতি বলে দখল করে বসবাস করছে এক শ্রেনীর সনতাসী প্রকূতির লোকেরা ।অভিজ্ঞ মহলের মতে রেলওয়ে এ সব পরিত্যাক্ত জায়গা ও কোয়াটার বৈধভাবে লীজ প্রদান করলে সরকার লক্ষ লক্ষ রাজসব আয় হবে। বর্তমানে রেলওয়ে ্এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।