স্টাফ রিপোর্টার: : চাঁদপুর নৌ-সীমানায় জাটকা নিধন বিরোধী অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোঃ রাশেদের নের্তৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৬ জেলেকে আটক করে। বুধবার বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর নৌ- ফাঁড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোঃ রাসেদ এদের প্রত্যেকে ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। কারাদন্ড প্রাপ্তরা হচ্ছে- মোঃ রাসেল খান (২৪), ফয়সাল মিজি (২২), বিল্লাল হোসেন (৩০), রনি (১৮), ইসমাইল বকাউল (৪০), মোঃ ফারুক (৪৫)। এদের সকলের বাড়ি সদর উপজেলা কল্যান্দী এলাকায়।
নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, মার্চ-এপ্রিল ২ মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভায়াশ্রম চলাকালীন সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সময় কিছু অসাধু জেলে পদ্ম-মেঘনা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন করছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোঃ রাশেদ মৎস্য ইনস্টিটিউট সহকারী পরিচালক শাহিদুর রহমান ও পুলিশ বিভাগের এসআই মনছুর আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ৬ জেলেকে আটক করেছেন। অপর দিকে হাইমচর মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝাটকা নিধনকালে ৪ জেলেকে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সারোয়ার কামাল ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে- বিল্লাল হোসেন (৩০), মনির হোসেন (৩৫), মহসিন (২৫), দেলোয়ার হোসেন (২৭)। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে ঝাটকা নিধনের অপরাধে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১১ জেলেকে আটক করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এদের মধ্যে ৭ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড ও ৪ জনকে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এদেরকে এ কারাদন্ড প্রদান করেন। কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে দুলাল চন্দ্র বর্মন (৩০), রাধেশ্যাম বর্মন (৬০), জয়রাম বর্মন (৫০), সুধী বর্মন (২৫), সাদেকআলী (২৭), বল্লব (৩০) ও শংকর (৩৫)। এদের প্রত্যেকে বুধবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।