শুক্রবার বিকালে উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তত অর্ধশত আহত হন বলে দুদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
নিহতরা হলেন উপজেলার খেজুরতলা এলাকার মো. আলিমের ছেলে আরিফ হোসেন (২৩) ও গাজীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০)।
দুজন নিহত হওয়ার কথা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সুপার এবং বিএনপি নেতারা আরিফ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিএনপি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে বিএনপি দাবি করলেও পুলিশ বলছে তারা শুধু রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহমেদ হোসেন সুলতান বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই আরিফের মৃত্যু হয়।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমির জাফর জানান, সংঘর্ষে আহত যুবদলকর্মী জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় সেখানে আগে থেকে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
ঘণ্টাব্যাপী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে এ সংঘর্ষ উপজেলার টিএন্ডটি রোড, হাসপাতাল রোড ও রায়পুর সড়কে ছড়িয়ে পড়ে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশকে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করতে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও অবস্থান নিয়েছে।
জেলা বিএনপি সভাপতি মোমিনুল হক বলেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে যুবদলের কর্মী আরিফ নিহত হন। ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান জাহাঙ্গীর। এছাড়া অন্তত ৫০ জন আহতও হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু শাহেদ সরকার বলেন, সংঘর্ষে তিনিসহ তাদের দলের ১০/১৫ জন আহত হয়েছেন।
ফরিদগঞ্জে শনিবার হরতাল
যুবদলকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার ফরিদগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
উপজেলা বিএনপি সভাপতি স্থানীয় সাংসদ হারুনর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।