মিজান লিটন ====
চাঁদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে গত ৩ দিনে ১৮ দলীয় জোটের ১৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শহর বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রদল ও জামায়াতের রোকন রয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তারা হলেন : বিএনপি সমর্থক হাইমচর উপজেলার সাহাজ উদ্দিন খাঁর ছেলে মাসুদ খাঁ (৩০), মৃত আঃ গণি খাঁর ছেলে সাহাজ উদ্দিন খাঁ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নাছির উদ্দিন কাঠ নাছির (৪২), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়ার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান (৪০), ফরিদগঞ্জের বিএনপি সমর্থক মোঃ মিজানুর রহমান (৩৭), হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা ইউপি সদস্য ও বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন (৩৫), চাঁদপুর পৌর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম সেকুল (৪৫), জেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর বেপারী (৪৭), বিএনপি সমর্থক মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুল (৪০), জাকির (৪০), মতলব দক্ষিণের জামায়াত সমর্থক হেলাল উদ্দিন (২৮), ফরিদগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির শরীফ আহম্মদ আঃ কুদ্দুছ (৪৮), মতলব দৰিণ উপজেলা নায়েরগাঁও উপজেলা ছাত্রদল নেতা রাসেল আরমান (২২), শাহিন সরকার (২৩), ইয়াসিন আরাফাত (২১) ও মোঃ শান্ত আরমান (১৮)।
এ দিকে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের এসব নেতাকে আটক করার পর শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে দেখা যায় না। অনেক ওয়ার্ড ও জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী বিকেলের পর নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে রাত কাটান। সকলের মাঝে এখন ধর-পাকড়ের আতঙ্ক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক প্রিয়তোষ সাহা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ জসিম পাটওয়ারী, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আলী জিন্নাহ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, অ্যাডঃ সাইফুদ্দিন বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ঘৃত প্রদীপ উৎসবকে কেন্দ্র করে সকালে মিশ্রী ভোগ, সিদ্ধ ভোগ, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ষোড়শ’ পূজা, রাজ ভোগ ও বিকেলে শীতল ভোগ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেল হতেই মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের জন্য শ’ শ’ যুবক, যুবতী, নারী-পুরুষ আসতে শুরু করে। তারা এ দিন উপবাস থেকে ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর নিকট দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাসহ নিজেদের সুখ-শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। পরে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জ্বলন্ত প্রদীপ মন্দিরের পার্শ্বস্থ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। শ’ শ’ ভক্ত নর-নারী নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে এ প্রদীপ ভাসানো প্রক্রিয়া অবলোকন করেন।