শওকত আলী :
চাঁদপুরে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার কাঠ, ৮টি অবৈধ বাল্কগেটসহ নৌ-যানে থাকা ৫৬ জন শ্রমিককে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মেঘনা নদীর ল¹িমারারচর, আখনের হাট হরিনা, আলু বাজারসহ কয়েকটি এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৮ টি বাল্কগেট সহ ৫০ লক্ষ টাকার কাঠ ও ৫৬ জন শ্রমিককে আটক করে চাঁদপুর নৌবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটককৃত বাল্কগেট গুলো হচ্ছে এমভি আরিফুল, এমভি আফছানা মিমি, মায়ের বাধন, মায়ের দোয়া, অনিক-অনিকা, ফজর, মারূফ সাফুর, রফিক-নুরূল পরিবহন।
খবর নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ সমুদ্র অধিপ্তরের পরিবহন বিভাগের সার্ভে রেজিস্ট্রেশন ও চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষের কনজারভেটিভ অনুমতি বা ছাড়পত্র না থাকায় এসব বাল্কগেট জাতীয় জাহাজ অবৈধ যাতায়াত করায় এগুলোকে আটক করা হয়। নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম, নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ও ৮০ জন শ্রমিককে সাথে নিয়ে চাঁদপুর নৌ-সীমানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ সব জাহাজগুলোকে আটক করা হয়।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধভাবে মেঘনায় দীর্ঘদিন একটি চক্র কাঠ, তেলসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি করে আসছিলো। এরই সুত্র ধরে উদ্ধার হওয়া গাছ ও বাল্কগেট আটক করা হয়। ১৯৭৬ সালের ইংল্যান্ড শিফিং আইনের ৮১ ধারা মোতাবেক নৌ-যানগুলো কোন কাগজপত্র না থাকায় এগুলোকে জব্দ করে নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত অবৈধ গাছ স্বরুপকাঠি থেকে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সহ আশে পাশের এলাকায় পাচার হচ্ছিলো। খবর পেয়ে মেঘনা নদীর ল¹িমারার চর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে একে একে অভিযান চালিয়ে ৮ টি বাল্কগেট সহ ৫০ লক্ষ টাকার গাছ ও ৫৬ জন শ্রমিককে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত বাল্কগেটগুলোর প্রত্যেকটিকে ১ লক্ষ টাকা হতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান থাকায় জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জাহাজগুলোকে জরিমানা করা হবে বলে বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান।