স্টাফ রিপোর্টার: : চাঁদপুর জেলাধীন ৬টি পৌরসভার মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ৫ টি পৌরসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ ৫টি পৌরসভায় নির্বাচনে ৭৯ টি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে নির্ধারণ করেছেন পুলিশ প্রশাসন। যার ফলে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ওইসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার। ৫৪টি ভোট কেন্দ্রের ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে মারাত্বক আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে। ৫টি পৌরসভার ছেঙ্গারচর, মতলব, কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মোট ৪৮টি ওয়ার্ড রয়েছে বলে জেলার নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাযায়। এসব ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণের জন্য ৭৯ টি কেন্দ্রে ৪শ ৭১টি বুথ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৮টি ও স্থায়ী ভোটকেন্দ্র ৪৪টি। ৫টি পৌরসভায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯শ ৬৭টি ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৩ হাজার ৩শ ৮২ ও নারী ভোটার ৭২ হাজার ৩শ ৮৫ জন। এদিকে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান ৫টি পৌরসভার মোট ৭৯ টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৫টি ভোট কেন্দ্রকে সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এজন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে শুধুমাত্র ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে না। উচ্চ আদালতের এক আদেশে মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ফলে এ পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রফিকুল আলম জর্জ নির্বাচিত হতে কোন বাধানেই বলে তার আইনজীবিরা জানিয়েছেন। এ নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ৪টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। দলীয়ভাবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।