প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আমির হোসেন খান এন্ড কোম্পানীর পাম্পে ভেজাল তেল যানবাহনে সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ক� দিন যাবৎ ওই পাম্প থেকে অকটেন ও পেট্রোলে ভেজাল থাকায় বহু মোটর সাইকেল মালিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উক্ত পাম্পে অকটেন ও পেট্রোলের সাথে ভেজাল তেল মিশ্রিত করে বিক্রি করে থাকে। ভেজাল তেল গাড়িতে ব্যবহার করে মোটর সাইকেল মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীনের পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। ভেজাল তেল গাড়িতে ব্যবহার করায় গাড়ি স্টার্ট নিতে চায় না। প্লাগ নষ্ট হয়ে যায়। ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দেয়। অধিক মুনাফা লাভের আশায় পাম্প কর্তৃপক্ষ ভেজাল মিশ্রিত তেল ব্যবহার করে গাড়ির মালিকদের নিকট থেকে বর্তমান বাজার মূল্যের তেলের দাম রাখে। দিনের পর দিন পাম্পটিতে ভেজাল তেল বিক্রি করলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পাম্প কর্তৃপক্ষ যমুনা ডিপোর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে ভেজাল তেল বিক্রি করে থাকে। মোটর সাইকেল চালক হাবিব, জসিম, মহসিন জানায়, আমির হোসেন খানের পাম্পে দীর্ঘদিন যাবৎ ভেজাল তেল বিক্রি হয়ে আসছে। ভেজাল তেল গাড়িতে ব্যবহার করায় তাদের গাড়ির প্লাগ নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ করে চলন্ত অবস্থায় গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাম্পের ম্যানেজার আজিজ খান জানান, ডিপো থেকে যে তেল দেয় সে তেলই আমরা বিক্রি করে থাকি। চাঁদপুর যমুনা ডিপোর সুপার আনোয়ার জানান, আমির হোসেন খানের পাম্প ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় আমাদের তেল যায়। সেখানেতো কোনো সমস্যা হয়নি। এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু� জন মোটর সাইকেলের মিস্ত্রি জানান, চাঁদপুরের অন্যান্য পাম্পে ভেজাল তেল না থাকলেও আমির হোসেন খানের পাম্পে ভেজাল তেল রয়েছে। আমরা মোটর সাইকেলের কাজ করতে গিয়ে দেখি ওই ভেজাল তেলের কারণে যতোসব সমস্যা হচ্ছে। এমনকি অন্য পাম্পের তেলের সাথে এ পাম্পের তেল মিলিয়ে দেখেছি তাদের তেলে ভেজাল আছে।