চাঁদপুর নিউজ ডেস্ক=
অবশেষে চাঁদপুরে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের লোড নেয়ার যে প্রতিবন্ধকতা ছিলো তা দূরীভূত হলো। বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার চাঁদপুর ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। এর দ্বারা বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় যে সর্বোচ্চ ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া যাচ্ছে তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে ১২০ মেগাওয়াট করা যাবে। চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চাঁদপুর জেলায় যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা সে পরিমাণ বিদ্যুতের লোড নেয়ার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার এতোদিন চাঁদপুরে ছিলো না। যে কারণে সদিচ্ছা থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী এ জেলায় বিদ্যুৎ বরাদ্দ এতোদিন দেয়া সম্ভব হয়নি কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলেই একবার চাঁদপুর কণ্ঠে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসে। অবশেষে তা সফল হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চাঁদপুর গ্রীড উপ-কেন্দ্রে স্থাপিত দু’টি ২৫/৪১ এমভিএ ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করে ২টি ৫০/৭৫ এমভিএ ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। গতকাল দিনভর এ কাজ চলে। আগামীকাল রোববারের মধ্যে এ দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর বিউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান জানান, পূর্বের দু’টি ২৫/৪১ এমভিএ ট্রান্সফরমার দ্বারা সর্বোচ্চ ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতো। আর এখন নতুনভাবে স্থাপিত ৫০/৭৫ এমভিএ দু’টি ট্রান্সফরমার দ্বারা সর্বোচ্চ ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এর দ্বারা অত্র উপ-কেন্দ্রের ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এ উপ-কেন্দ্রের দ্বারা অচিরেই চাঁদপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার আংশিক অঞ্চল লোডশেডিংমুক্ত হবে। নতুন এ ট্রান্সফরমার স্থাপনের বিষয়টি চাঁদপুর বিউবো কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর জেলা ক্যাবের সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তীকে অবহিত করেন এবং তিনি সরজমিনে গিয়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, নতুনভাবে স্থাপিত ট্রান্সফরমার দু’টি দেশীয় কোম্পানি ‘এনার্জি প্যাক’ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এবং এগুলো প্রস্তুতসহ স্থাপন ও চালুকরণের যাবতীয় কার্যক্রম দেশীয় প্রকৌশলীদের দ্বারাই সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তারা। ইতিপূর্বে এসব কাজ চীনসহ অন্যান্য বিদেশী কোম্পানি ও বিদেশী প্রকৌশলী দ্বারা সম্পন্ন করা হতো।