মিজান লিটন
চাঁদপুরে ৫ জানুয়ারী সোমবারের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এই পর্যন্ত ৮ টি মামলা করেছেন। জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকীদের অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর সদরে ৪ টি, কচুয়া ১ টি , হাজীগঞ্জ ১ টি ও ফরিদগঞ্জ থানায় ২ টি মামলা করা হয়।
এসব মামলায় আট জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুুলিশ।
চাঁদপুর ঃ জেলা সদর থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার চিত্রলেখা এলাকা ও ঘোষেরহাট এলাকার সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে আলাদা আলাদা দুটি মামলায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও চাঁদপুর নতুন বাজার ও পুরাণবাজারের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’ মামলায় নামধারী ৩০ জনকে আসামী করা হয়। এসব মামলার বাদি যথাক্রমে, ঘোষের হাটের ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু, চিত্রলেখার মোড়ের ঘটনায় এএসআই নন্দন সরকার, নতুনবাজারের ঘটনায় এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও পুরানবাজারের ঘটনায় এসআই শাহাবুদ্দিন।
ফরিদগঞ্জ ঃ জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার নামধারী ৮১ জন ও অজ্ঞাত চারশত বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক। সোমবার সকালে আওয়ামীলীগ-বিএনপি-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরা হলেন যুবদলী কর্মী সাহাবুদ্দিন, সোহেল, মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের এককর্মী ও পথচারী আবু তাহের (১০) নামে শিশু।
হাজীগঞ্জ ঃ হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির চার শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন হাজীগঞ্জ থানার এসআই শামীম আহম্মেদ। মামলায় ৫২ জন নামধারী ও অজ্ঞাত তিন/ চার শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়। এজহারে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের টোরাগড় থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত যানবাহন ভাংচুর, লুটতরাজ ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম বলেন, বিএনপি নেতা আবুল বাসারসহ ৫২ জন নামধারী ও বাকীদের অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টাব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। পরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
কচুয়া ঃ চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের কচুয়া উপজেলার জগতপুর বাজার এলাকায় সোমবার বিকালে আওয়ামীলীগ-বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৩২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ওইসময় বিএনপির দুই কর্মী কাজী আবুল হোসেন (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৫) কে গ্রেপতার করে। থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপির ৫২ ও অজ্ঞাত ২’শ জনকে আসামী একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইবরাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।