মিজান লিটন-
চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে চলাচলের জন্য শীঘ্রই আসছে অত্যাধুনিক মডেলের যাত্রীবাহী লঞ্চ (জাহাজ) এমভি রিপল। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ‘বেকরুশ’ জাহাজটির ন্যায় এ জাহাজটির আকৃতি। প্রায়ই একই ডিজাইনের সিঙ্গাপুর ক্যাটাগরি এ জাহাজটি তৈরি করছেন থ্রি অ্যাঙ্গেল কোম্পানীর চাইনিজ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারগণ। বর্তমানে জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ এলাকার বন্দর ডকইয়ার্ড ৮৬৯/৬০ উইলশন রোডে মেরামতের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জাহাজটি পবিত্র কোরবানি ঈদের ৩/৪ দিন আগে দেখা যাবে ঢাকা সদরঘাট ও চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে। নৌ-সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে ডিজাইন নিয়েই এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রিন্স ওয়াটার ওয়াইজের এমভি রিপল ৩ তলা বিশিষ্ট। এটিতে রয়েছে সিঙ্গেল ও ডাবল ৫২টি কেবিন। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক মানের রয়েছে ১০২টি চেয়ার। তিনতলা বিশিষ্ট জাহাজটির প্রথম তলায় সুগন্ধা যাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩২০টি ইজি চেয়ার। যাত্রীদের সুবিধার জন্য ডাবল রুমের ২টি উন্নত মানের কেবিন রয়েছে। যে কোনো ফ্যামিলি অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধে কেবিনে যাতায়াত করতে পারবে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ অসুস্থ রোগীদের জন্য আলাদা কেবিন রেখেছেন। ১২০ ফুট লম্বা ৪৫ ফুট পার্শ্বস্থ জাহাজটি ২ বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলছে। পুরো ৩ তলায় এসি সংযুক্ত, ২ ইঞ্জিন বিশিষ্ট জাহাজটি ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসতে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।
জাহাজটির মালিকের বাড়ি চাঁদপুর। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ফরিদ আহম্মেদের ছেলে ও আলহাজ্ব আবুল বাশার বাসু হাজীর মেয়ের জামাই এ জাহাজের মালিক শেখ মোহাম্মদ রাইসউদ্দোল্লা প্রিন্স বলেন, আমি চাঁদপুরের ছেলে। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো নদীপথে চাঁদপুরবাসীকে সেবা দেয়ার। নৌ-পথে চলাচলকারী চাঁদপুর এবং ঢাকার যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারবে। জাহাজটি নির্মাণের পর ডিজাইন দেখে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে এটি চালানোর জন্য। চাঁদপুরবাসীর কথা মনে রেখেই জাহাজটি এ রূটে চালানোর চিন্তা করেছি। প্রিন্স ওয়াটার ওয়াইজের তত্ত্বাবধানে খুব সুক্ষ্মভাবে ক্যাটামেরিন শিপের ডিজাইন অনুযায়ী প্রায় ২৫ মাস ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারগণ কাজ করছেন। সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশনও করা হয়েছে। কম্পিউটার পদ্ধতি ও হাইড্রোলিক সিস্টেমে এটি চলবে। আমি আশা করি আগামী ১২ তারিখের মধ্যে এটির সার্ভিস ঢাকা সদরঘাট থেকে শুরু হবে। উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহন মন্ত্রীসহ নৌবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নদীপথে যাতে যাত্রীরা ঝুঁকিমুক্তভাবে চলতে পারে সেভাবে বিভিন্ন দপ্তরের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখাশোনা করছেন। লঞ্চ (জাহাজ)টির পরিচালনায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন আলহাজ্ব আবুল বাশার বাসু হাজী।