স্টাফ রিপোর্টার: : নৌ-যান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ২য় দিনে চাঁদপুর অচল হয়ে পড়েছে চাঁদপুর নৌ-বন্দর। চাঁদপুর থেকে কোন নৌ-যান চলা চল করেনি। ঢাকা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ময়ুর -২ , ময়ুর-৭ ও ফারহান-২ সহ ৮টি লঞ্চ চাঁদপুর ও বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বলে জানান, চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকতা মোস্তাফিজুর রহমান।বিভিন্ন স্থান আসা চাঁদপুর নৌ-বন্দরে শত-শত যাত্রী ধর্মঘটের ২য় দিনেও চরম দুরর্ভোগ ও ভোগান্তি পৌহাতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নৌ-পথে চাঁদপুর থেকে সকল রুটে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌ-শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরী ১১ হাজার টাকা এবং সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, নৌ-পথে অবৈধ চাঁদাবাজি, অবৈধ ইজারা বন্ধ, পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানী তেল বিরোধী শিল্পনীতি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। নৌ-ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, ভোলাসহ অন্তত ২০টি রুটে যাত্রীবাহি লঞ্চসহ সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে শ্রুমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আসা যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা অবিলম্বে নৌ-যান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। নৌ-ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর নৌ-বন্দরে কর্মরত কয়েকশ’ শ্রমিক এখন বেকার অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিকলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধর্মঘট অব্যহত থাকবে। আসলে সরকারের কাছে নয় আমাদের দাবি মালিক পক্ষের কাছে। তারা যত দ্রুত এ দাবি গুলো বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেবে, ততই মঙ্গল হবে।
ময়ুর -৭ লঞ্চের মালিক ্আলহাজ আবু তাহের জানান,শ্রমিকদের কে সঠিক ভাবে বেতন দেওয়া দেওয়া হচেছ,তাই আমরা লঞ্চ যথারিতি লঞ্চ চালাবো।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচাক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান,ঢাকা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮টি লঞ্চ চাঁদপুর- বরিশালের মধ্যে চলা চল করেছে। তুলনামুলক যাত্রী অন্য দিনের চাইতে কম। বি আই ডব্লিউ টিএর নৌ- যান যথারিতি যাত্রী সেবা দিয়ে যাচেছ। নৌ – পুলিশ পর্যাপ্ত সিরাপত্তা দিয়ে যাচেছ।বিষয়টি সমাধানে সরকারে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও লঞ্চ মালিকদের সাথে কথাবার্তা চলছে। আশা করি শীঘ্রই এ সংকটের সমাধান হবে।