চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় নেমেছেন বিএনপির বর্তমান ও সাবেক অন্তত দই ডজন নেতা। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির (পদস্থগিত) সদস্য শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
আগামী ২৯ মার্চ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এতে মেয়রপদের বিএনপি কেন্দ্রীয় সাবেক এক নেতা শফিকুর রহমান ভূইয়াসহ কাউন্সিলর পদে লড়াইয়ে নামছেন ১০ নেতাসহ । এর মধ্যে কাউন্সিলর পদে অন্যতম প্রতিদ্ব›দ্ধীতা বিএনপির নেতা ডি এম শাজাহান, আলী আহমেদ সরকার, নজরুল ইসলাম বেপারী, ফরিদ আহমেদ, আব্দুর রহমান মিয়াজী, নজরুল ইসলাম সেকুল, চাঁন মিয়া মাঝি, শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ফারুক দেওয়ান, তোপায়েল পাটওয়ারী, ফারুক খান, বাচ্চু গাজী, খান বাহাদুর, আব্দুল মালেক বেপারী। তারা পৌর সভার ১৫টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্ব›দ্ধীতা করছেন।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না প্রভাবিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ আশঙ্কায় এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছেন। বিএনপির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকার জেলায় পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিএনপি তথা ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ২শ’ মামলা করেছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় শতাধিক মামলা হয়েছে। বর্তমানে শতাধিক নেতাকর্মী কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পৌর এলাকায় ২০-দলীয় জোটের প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কোনো কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লশির নামে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তড়িঘড়ি করে পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন করার পাঁয়তারা চলছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো কোনো পরিবেশ না থাকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়কদের সিদ্ধান্তে আলোকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে দলটি।
গত ৮ মার্চ রাতে ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের এ ঘোষণা দেন। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আনোয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর পৌর নির্বাচনের চতুর্থ তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণা অনুয়ায়ী আগামী ২৯ মার্চ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ নির্ধারিত ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। গত ১ মার্চ যাচাই-বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১০ মার্চ।
পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ১শ’ ৬৫ জন। এর মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৩৪ প্রার্থী। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে চূড়ান্ত প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় রয়েছেন এখন ১২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভূঁইয়া এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২৭ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন প্রার্থী।
গত ১১ মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন মোবাইল ফোন আর শফিকুর রহমান ভূঁইয়া জগ প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক পাওয়ার পরই প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা।
নির্বাচনে ১৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৯শ’ ৭৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫১ হাজার ৮শ’ ৪১ জন ও মহিলা ৫০ হাজার ১শ’ ৩৪ জন।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।