শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥্
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে দির্ঘদিন যাবত যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাইন বোড ব্যাবহার মিজানুর রহমান পাটওয়ারী নামে এক প্রতারক চট্রগ্রাম থেকে চোরাই ভাবে তেলের লড়ি বেঝাই করে এনে মজুদের পর বিক্রী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার গভীর রাতে চট্র মেট্রো ট ১১-১৪২৭ তেলের লড়ি পেট্রোল তেল বোঝাই করে এনে বঙ্গবন্ধু সড়কের আবাসিক এলাকায় মিজানুর রহমান পাটওয়ারীর তার দোকান ও গোডাউনে আনলোড করার সময় টহোল পুলিশ এসে আটক করে। পুলিশের চেখে ধুলো দিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানীর নামে নকল মেমো দেখিলে পুলিশ অবশেষে তেলের লড়িটি ছেড়ে দেয়। যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাইন বোড ব্যাবহার করে তেল বিক্রী করায় মিজানুর রহমান পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য চট্রগ্রাম বিভাগের যমুনা অয়েল কম্পানীর এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ শহীদুল ইসলামের স্বাক্ষরীত একটি অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবর পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক দিন পূর্বে জেলা প্রশাষকের নির্দেশ্যে নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোঃ রাশেদ অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান পাটওয়ারীকে ৫ হাজার জরিমানা আদায় করে এবং প্রথম বারের মত সুযোগ দিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাইন বোড খুলে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সে আবারো যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাইন বোড লাগিয়ে অবৈধ তেল বিক্রী করে। জানা যায়, ফরিদগঞ্জ চান্দ্রা লোহাঘড় মৃত ছাদেক পাটওয়ারীর ছেলে মিজান পাটওয়ারী এক সময় যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাধারন শ্রমিক হিসেবে চাকরী করতো। দূর্নিতীর কারনে যমুনা অয়েল কোম্পানী থেকে তার চাকরী চলে যায়। তার পর থেকে মিজান পাটওয়ারী যমুনা অয়েল কোম্পানী মান খূর্ন করতে তাদের সাইনবোড দোকানে লাগিয়ে ও নকল মেমো বানিয়ে চোরাই তেল বিক্রী করে আসছে। তেমনি বুধবার গভীর রাতে চট্র মেট্রো ট ১১-১৪২৭ তেলের লড়ি পেট্রোল তেল বোঝাই করে এনে দোকান ও গোডাউনে আনলোড করে। এই সংবাদের ভিত্তিতে এএসপি হেড কোয়াটার সাকিল আহাম্মেদের নির্দেশ্যে মডেল থানার এসআই জাকির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অভিযাস চালিয়ে তেল বোঝাই তেলের লড়ি আটক করে। পরে পুলিশকে যমুনা অয়েল কোম্পানীর নামে নকল মেমো দেখিলে অবশেষে তেলের লড়িটি ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে এএসপি হেড কোয়াটার সাকিল আহাম্মেদ জানায়, যমুনা অয়েল কোম্পানীর কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তেল জব্দ করে মিজান পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এই ঘটনায় যমুনা অয়েল কোম্পানীর চাঁদপুর ডিপো উনচার্জ জানায়, মিজান পাটওয়ারীর চাকরী যাওয়ার পর আদালতে তার সাথে মামলা চলে আসছে। সে প্রতারনা করে যমুনা অয়েল কোম্পানীর সাইন বোড ব্যাবহার তেল বিক্রী করে আসছে। সে যমুনা অয়েল কোম্পানীর তেলের এজেন্টার নয়। অবৈধ ভাবে চট্রগ্রাম থেকে বেসরকারি শোধনাধার থেকে কম দামে তেল এনে বিক্রী করে আসছে। এতে করে সরকার প্রতি লিটার পেট্রোল ও অকটেনে ৪০ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই ঘটনায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মন্ডল জানায়, এর পূর্বে নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোঃ রাশেদ অভিযান করেছে। চোরাই ভাবে তেল এনে বিক্রী করায় তার বিরুদ্ধে আবারো আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।