চাঁদপুর বিজয় মেলা থেকে ফেরার পথে শহরের বাসষ্টেন্ডে বোগদাদ বাসের হেলপার ও তার মামাত বোনকে অপহরণ করে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। গত শুক্রবার কচুয়া থেকে আসা যুবক যুবতী মেলা
রাত ১০ টায় মেলা দেখে যাওয়ার সময় অপহরন কারীরা তাদেরকে বাসষ্টেন্ড এলাকার পথ গতীরোধ করে জোররপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে বাবুরহাট নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মডেল থানার সহকারি উপপরিদর্শক আহসানুজ্জামান লাবু সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে বাবুরহাট থেকে অপহৃতা যুবক যুবতীকে উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনকে রাতব্যাপি অভিযান চালিয়ে বাসষ্টেন্ড, বাবুরহাট ও মতলব রোডের মাথা থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা আমিন মিয়া বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় নারী ও শিমূ নির্যাতন আইনের ৭/৯ (৪)খ /৩০ ও প্যাণের কোর্ট ৩৪২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলানং -৩। তারিখ ০৩ জানুয়ারী । ঘটনার বিবরনে জানাযায়, কচুয়া উপজেলার নলূয়া গ্রামের আমিন মিয়ার ছোট মেয়ে গত শুক্রবার তার বড় মেয়ে শাহিনের শ্বশুর বাড়ী জগৎপুরে বেড়াতে আসে। এ সময় সে চাঁদপুরে বিজয় মেলা দেখার জন্য তার ফুফাত ভাই বোগদাদ বাসের হেলপার কচুয়া পালগীরী গ্রামের মমিনের ছেলে লিটনকে সাথে নিয়ে চাঁদপুরে আসে। বিজয়মেলা
দেখে যাওয়ার সময় রাত ১০ টায় ফুফাত ভাই লিটন মামাত বোনকে নিয়ে বাসষ্টেন্ড গিয়ে গাড়ীতে উঠার সময় অপহরনকারী বাবুরহাটের মোহন তাদের পথ গতীরোধ করে। এ সময় মোহনের সহযোগী ৭ জনকে নিয়ে যুবক যুবতীকে সিএনজি যোগে উঠিয়ে জোররপূর্বক বাবুরহাট নিয়ে যায়। সেখানে অপহরনকারীকে নির্জনস্থানে যুবতীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শি জনৈক ব্যাক্তি তাৎক্ষনিক মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পেয়ে মডেল থানা পুলিশ বাবুরহাট থেকে অপহৃতা যুবক যুবতীকে উদ্ধার কওে থানায় নিয়ে আসে। রাতব্যাপি পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরন ও ধর্ষনের ঘটনায় উত্তর মৈশাদী মোশারফের ছেলে মাহমুদুল হাছান (২০) , প্রফেসার পাড়ার মফুরছেলে সজিব (২১), ট্যাকনিক্যালের মিজানের ছেলে তাহছিবুল (২২),পূর্ব বিষ্ণুদীর মোবারকের ছেলে রুমন (২১), আনোয়ার হোসেনের ছেলে মমিন (২০), কুমিল্লার আব্দুল কাদেরের ছেলে মাহবুব (২) ও ব্ষ্ণিুদীর গোলাপ খার ছেলে মিঠু (২১) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য একটি চক্র থানায় এসে ব্যাপক তদবীর চালাতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক মডেল থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য গেলে থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার তাদের সাথে অশোভন আচরন করে। পরে পুলিশ মামলা নিয়ে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আরিচুল হক জানায় এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে।