মিজানুর রহমান রানা ॥
চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে নদী ভাঙ্গন রোধে অপরিকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে বালির বস্তা। জনগণের অভিমত, এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কোনোপ্রকার চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই বিচ্ছিন্নভাবে বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধ তো সম্ভবই নয়, বরং সরকারি অর্থগুলোর হচ্ছে অপচয়। জলে যাচ্ছে সরকারি অর্থ।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বড় স্টেশন মোলহেডে উপস্থিত থেকে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ৫টি বোট যথাক্রমে এমভি বিসমিল্লাহ, এমভি নূরে আলম-২, এমভি অনিম এন্ড তানিম, এমভি সাইম সোহাম-১, এমভি বাংলার মা ও এমভি কর্ণফুলি-২ এ বালির বস্তা ভরা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারের প থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আফরিন সুলতানা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এর তদারকির দায়িত্বে কাজ করেন। এর মধ্যে প্রতি বারে এমভি বিসমিল্লাহ ১২৩ বস্তা, এমভি নূরে আলম-২ এ ২১৪ বস্তা, এমভি অনিম এন্ড তানিম ২৬৬ বস্তা, এমভি সাইম সোহাম-১ এ ২৮০ বস্তা, এমভি বাংলার মা ২০৫ বস্তা ও এমভি কর্ণফুলি-২ এ ১৩০ বস্তা মোট প্রতি বারে ৫টি বোটে ১২১৮ বস্তা লোড করে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিটি বোটে প্রতিটি বারে মাল লোড করতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা। মোট ৫টি বোটে কাজ করে প্রায় ১শ’র ওপর শ্রমিক। প্রতিটি বস্তা ফেলতে খরচ হচ্ছে ২৩ টাকার ওপরে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাঝ নদীতে বালির বস্তা ফেলে প্রচুর সরকারি টাকা খরচ করে ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব নয়। ভাঙ্গন ঠেকাতে হলে পরিকল্পিত কাজের প্রয়োজন।
কীজন্যে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নদীতে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে, এই প্রশ্নের জবাবে অনেকেই জানিয়েছেন, আসলে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করার জন্যেই এই আয়োজন। আসলে কাজের কাজ কিছুই হবে না, বরং কারো কারো পকেটই ভারী হবে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালির বস্তা ফেলে নদীতে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।