ফাহিম শাহরিন কৌশিক:-
চাঁদপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে মডেল থানা পুলিশের কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিদিন পুলিশ ইয়াবা গাজা সহ মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করছে। পুলিশের মাদক উদ্ধারে একের পর এক সাফল্য পাওয়ায় জনমতে সত্বি ফিরে এসেছে। চাঁদপুরে ইয়াবা ও গাজা সহ বিভিন্ন মাদকের কারণে যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সুপার আমির জাফরের নির্দেশে অবশেষে মাদক নির্মলে মডেল থানা পুলিশ মাঠে নেমেছে। গত মঙ্গলবার মডেল থানা পুলিশের এ.এস.আই আহসানুজ্মাান লাবুর নেতৃত্ত্বি নন্দন সরকার এস.আই ফিরোজ আলম পৃথক অভিযান চালিয়ে আড়াই কেজি গাজা সহ ৫জনকে আটক করেছে। সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় আহসানুজাম্মান লাবু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পালে বাজার কামারের দোকানের সামনে থেকে ১ কেজি গাজা সহ ইসমাইল তালুকদার (৪৫) কে আটক করেছে। সে বাগাদী ইউনিয়নের আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। এদিকে পুলিশ নয়াকৌশল অবলম্ব করে সদর উপজেলায় তরপচন্ডী ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম তরপচন্ডী ছৈয়াল বাড়িতে রাত ১১টায় অভিযান চালিয়ে দেড় কেজি গাজা সহ ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো ছৈয়াল বাড়ির মৃত গণি ছৈয়ালের ছেলে শাহজাহান ছৈয়াল (৫০) দাসদী মিজি বাড়ি হাফেজ মিজির ছেলে কাশেম মেকার (৫৫) পুরানবাজার বহরিয়ার মুদাফররের ছেলে লিটন (৩৮) ও দাসদী খান বাড়ি হায়াত খানের ছেলে মোস্তফা খান (৩৫)। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছৈয়াল বাড়িতে শাহজাহান ছৈয়ালের ঘরে ক্রেতা হিসেবে প্রবেশ করে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদেরকে গাজা সেবন করা অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। তার বাড়ি তল্লশি চালিয়ে গাজা কোলকি সহ বিভিন্ন মাদকের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। মাদক বিক্রেতাদের আটক করার পর তাদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানীয়রা চেষ্টা চালায়। অবশেষে কিলো টু ডিউটিতে থাকা এ.এস.আই নোমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকৃতদের থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানানায় মাদ্রক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দাযের করা হয়েছে।