চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম, চাঁদপুর : চাঁদপুর মতলবে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা খবির হোসেন জনি হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ এম রফিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল ও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে এলাকাবাসী। ক্ষমতার দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হওয়ার ৬ দিন পর মঙ্গলবার ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭দিন পর মারা যান খবির। চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম রফিকুল ইসলামের পিএস যুবলীগ নেতা মো. খবির হোসেন জনি। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় যুবলীগ নেতা খবিরের লাশ এলাকায় পৌঁছলে প্রথমে তাকে মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সাংসদ এম রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর লোকজন অংশ নেয়। পরে দুপুর ২টায় খবিরের নিজ গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নিজ বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে মতলবের টিএন্ডটি এলাকায় ২০/২৫ জনের একদল যুবক খবিরকে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লঙ্ ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মঙ্গলবার খবিরের মৃত্যু হয়। খবির মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই মোশারফ হোসেন গত ৩০ আগস্ট ৯ জনকে অভিযুক্ত ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। এদিকে খবিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা বুধবার দিনভর এলাকায় খবির হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে খবিরের নিজ গ্রাম মতলবের নওগাঁও এলাকায় স্থানীয় সাংসদ এম রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারকে দোষারোপ করে খবিরের কপিন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কালো ব্যাজ ধারণ, দোকান-পাটে কালো পতাকা উত্তোলন এবং এমপি রফিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি পালন করে। খবিরের স্বজনদের অভিযোগ, সংসদ সদস্য এম রফিকুল ইসলামের ছত্রছায়ায় তার ছোট ভাই তৌফিক, চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান, বজলু দেওয়ানসহ বেশ ক’জন যুবক খবিরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্ত্মমূলক শাস্ত্মির দাবি জানিয়েছেন। যুবলীগ নেতা খবিরের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামে। খবির মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছিল। তার স্ত্রী ও ১ সন্ত্মান রয়েছে। এদিকে খবির হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্ত্ম সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেন পুলিশ সুপার।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।