শহর প্রতিনিধি-
সরকার ঘোষিত ১১ দিন সকল প্রকার জাল ফেলে নদীতে মাছ নিধন বন্ধের পর গত ২৩ অক্টোবর রাত থেকে জেলেরা নদীতে জাল ফেলে প্রচুর ইলিশ আহরণ করছে। এই নিষেধাজ্ঞার পর চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছঘাটে প্রচুর পরিমাণ ইলিশের আমদানী হচ্ছে। গত বুধবার রাত ১২টার পর থেকে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার দিন শেষ হয়। সেই থেকে জেলেরা আনন্দ-উল্লাসে জাল-নৌকা নিয়ে ইলিশ আহরণে নদীতে নেমে পড়েছে। আর তাতে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ’ শ’ মণ ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে উঠতে শুরু করে। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া , মাওয়া, শরিয়তপুর, ভোলা, চরফ্যাশান, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নদীতে জেলেরা মহানন্দে ইলিশ আহরণ করছে। ঐসব অঞ্চলের ইলিশ জেলেরা অধিক মূল্য পাওয়ার আশায় চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ট্রলার যোগে নিয়ে আসছে। ৭শ’-৮শ’ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ গড়ে প্রতি মন বিক্রি করা হচ্ছে ১৫-১৮ হাজার টাকা দরে। যার প্রতিকেজি মূল্য সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস গাজী জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম শেষ প্রায়। তাছাড়া গত ১২ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন নদীতে জাল পেলে মা ইলিশ নিধন অভিযান চলার কারণে এখন আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মা ইলিশ আমদানী হচ্ছে। এ ছাড়া আর একটিমাত্র জোঁ রয়েছে আগামী অমাবর্ষার। ঐদিন চলতি ইলিশ মৌসুমের শেষ মাছ ধরা হবে। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী সেকান্দর কোম্পানীর ছেলে মোঃ ছোবহান জানান, চাঁদপুর মাছঘাটে যেসব ইলিশ আমদানী হচ্ছে এগুলো চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ভোলা, চরফ্যাশান, বরিশাল থেকে চাঁদপুর মাছঘাটে আসছে। এরকারণ হলো জেলেরা আড়ৎগুলোতে থেকে পরবর্তী বছরের জন্য দাদন নেয়ার আসায় তারা ঐ ঘাটের আড়ৎদারদের কাছে মাছ বিক্রি করছে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।