চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেনির বগিসহ বিভিন্ন বগিতে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করেছে দুস্কৃর্তিকারীরা। এতে করে চলন্ত ট্রেনে পাথরের আঘাতে যাত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন যাত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে লাক্সাম ও চাঁদপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কর্তব্যরত চাঁদপুর রেলওয়ে থানার পুলিশের কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র ঘটনার সত্যতা শিকার করে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ঘটনাস্থলের লোকদেরকে সতর্ক করা হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বিকেল ৫ টায়। পথিমধ্যে ফেনী থেকে ট্রেনটি ছেড়ে শৈশদী নামক স্থানে ট্রেনটি আসলে, হঠাত রাত অনুমান ৭ দিকে, রেল লাইনের পাশ হতে অন্ধকার থেকে দুস্কৃতিকারীরা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে বৃষ্টির মতো রেল লাইনের পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ট্রেনের বগির গ্লাস ভেঙ্গে যায় এবং ট্রেনে থাকা ১ম শ্রেণির বগির যাত্রী ও অন্যান্য বগির মহিলা-পুরুল ও যুবক যাত্রীসহ কমপক্ষে ২৫ জন যাত্রী আহত হয় বলে যাত্রীরা জানায়। পাথরের আঘাতে প্রথম শ্রেণিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১০ মারাত্মক আহত হয়। প্রথম শ্রেণির বগিতে একটি পাথরের আঘাতে ৩ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পাথরটি নিক্ষেপের পর পাথরটির আঘাতে বরিশাল এলাকার উজীরপুর উপজেলার শোলাক গ্রামের, চট্টগ্রামের স্যানেটারী মিস্ত্রি মোঃ মনির হোসেন (২৯) এর মাথা ফেঁটে গিয়ে, পাথরটির আঘাত লাগে চাঁদপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা ইনচার্জ মমিনুল হক এর বুকে। তারপর পাথরটি সেখান থেকে ছুটে গিয়ে মজিব হাওলাদার নামক এক ব্যক্তির পেটে আঘাত লাগে। এসময় ট্রেনে দায়িত্বরত চাঁদপুর রেলওয়ে থানার কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র ও শরীরের পিছনে আঘাত প্রাপ্ত হন জানান। এছাড়া অন্যান্য বগিতে পাথরের আঘাতে আঘাত প্রাপ্ত আরও ১৫ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে সফিকুর রহমান (৩০), লিপি (২২), নুরজাহান বেগম (২৮), মোঃ মামুনুর রহমান (৩৫) ও আলী আক্কাছ হাওলাদার (৩২)। বাকি আহত যাত্রীরা আহত হলেও নাম প্রকাশ অনইচ্ছা প্রকাশ করেন। ট্রেনটি লাকসামে পৌছার পর মনির হোসেনকে স্থানীয়ভাবে মাথা ব্যান্ডিজ করে চিকিৎসা করা হয়। অপর আহত মজিব হাওলাদার চাঁদপুরে এসে চিকিৎসা নেন। ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, অধিকাংশ সময়ই ঘটনাস্থল দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় এ ধরনের পাথর নিক্ষেপ করা হয়। বিগত ১ বছর পূর্বে পাথর নিক্ষেপে একজন মহিলা প্রকৌশলী চোঁখে আঘাত প্রাপ্ত হন এবং পরের দিন মারাজান বলে যাত্রীরা জানান। অনেক যাত্রীর অভিমত এ ব্যাপারে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী প্রয়োজন।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৬ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।