চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বৈলিয়ার চর পদ্মা নদীতে ষ্ট্রীল বডির ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের হামলায় ১০ জন মাল্লা আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫ জনকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায়একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়, ২৯ নভেম্বর রাত ৯ টায় শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জের খোকন গাজীর মালিকানাধীন ইঞ্জিন চালিত ট্রলারযোগে রশুণ ও ধনিয়াপাতা সহ কাচামাল নিয়ে চাঁদপুরে আসছিলো। এ সময় রাজরাজেশ্বর ইউনয়নের পদ্মানদীর বৈলিয়ার চর নামক স্থানে আসলে মালেক পাইকা ও রুবেল পাইকার নের্তৃত্বে ৯/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাত দল দুটি ট্রলারযোগে এসে ব্যবসায়ীদের গতীরোধ করে। এসময় তারা ট্রলার থামানোর জন্য চালক খালেক মিজিকে বলে। সে ট্রলারটি না থামালে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খালেকের মাথায় আঘাত করে। এরপর হানিফ বেপারীকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে আহত করে। ট্রলারে থাকা তাকবির হোসেন, সুমন গাজি,আল-আমিন, হযরত আলীকে আহত করে। এমনকি তাদেরকে অস্ত্রের মুখে ঐ ট্রলারে জিম্মি করে রাখে। এসময় ডাকাতদল ২৫ বস্তা রশুন, ৫ বস্তা ধনিয়া পাতা, ৩ টি মোবাইল সেট ও নগদ দেড়লাখ টাকা জোরপুর্বক নিয়ে যায়। একইসাথে ডাকাতরা ঐ ট্রলারের ইঞ্জিন চালানোর যন্ত্র পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে আহতরা রক্তাক্ত অবস্থায় জেলে নৌকার সহযোগীতা নিয়ে গভির রাতে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত সুমন গাজী জানান, ৯/১০ জন ডাকাতের মধ্যে থেকে সে ুরাজরাজেশ্বর ইউনয়নের মালেক পাইকা (৪০) ও রুবেল পাইকা (৩৫) কে সে চিনতে পারলেও তাৎক্ষনিক জীবনের ভয়ে কিছু বলতে পারেনি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও নৌ এএসপি নুরুজ্জামান শেখের সহযোগীতায় ডাকাতচক্রকে আটক করার চেষ্টা চলছে।