শহর প্রতিনিধি-
টানা ৫ দিন ছুটি শেষে কর্মস্থলে মানুষ জন ছুটছে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চযোগে। পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষ হয়েছে গত শনিবার। কর্মজীবি মানুষ এখন বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ছুটছে স্ব-স্ব কর্মস্থলে। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকার উদ্দেশ্যে সকল লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষ ছুটে চলছে। গতকাল রোববার লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীগণ হুমড়ি খেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে রাজধানীর প্রাণে ছুটে চলছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ঈগল, আল বোরাক, সোনার তরী, এমভি সম্পা, বোগদাদীয়া-৯, রফরফ, মেঘনা রাণীসহ চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সব লঞ্চে যাত্রী ছিল পর্যাপ্ত।
বিআইডাব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ছাদের যাত্রীগুলো লঞ্চের ২য় ও ৩য় তলায় গাদাগাদি করে রাখছে। বড় স্টেশন মূলহেড ত্যাগ করার পর ঐসব যাত্রীদেরকে ছাদে উঠতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাছাড়া ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে যাত্রীদেরকে লঞ্চে উঠানো হচ্ছে। এতে করে যেকোনো ধরণের দূর্ঘটনা আশঙ্কা বিরাজ করছে। কিছু কিছু যাত্রী অভিযোগ করেন। লঞ্চে যে পরিমাণ যাত্রী বহন করার কথা লেখা রয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করছে। এতে করে যাত্রীবাহি লঞ্চগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মাধ্যমে চলাচল করছে। লঞ্চঘাটে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানায়, লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত ভিড়ের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চে যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া অনেক যাত্রী তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে। আর বিলম্বের কারণে তাদের হোস্টেলে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। আরো অনেক যাত্রী জানায় তাদের বুকিং দেয়া প্রথম শ্রেণী ও কেবিনের টিকেট না পাওয়ায় তারা যেতে পারছে না। যার ফলে চাঁদপুর শহরের অদূরের অনেক যাত্রী তাদের সন্তানাদী ও বিভিন্ন লাগেজ, ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে লঞ্চ টার্মিনালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের নির্দিষ্ট লঞ্চ যখন আসবে তখনই তাদের যাত্রা করতে হবে। এভাবেই ঈদের ছুটি শেষে নিজ কর্মস্থলে যেতে লঞ্চ ঘাটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। – See more
শিরোনাম:
শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।