শওকত আলী,
রেলওয়ে মন্ত্রনালয় ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাঁদপুর লাকসামের রেলপথের ১৫টি স্থানের শতাধিক অবৈধ ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করে ধ্বংস করে দিয়েছে কুমিল্লা-লাকসাম ও চাঁদপুরের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, কুমিল্লা রেলওয়ে উপ -সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, লাকসামের দায়িত্বরত এস এস এ ই/পথ লিয়াকত আলী মজুমদার, লাকসাম রেলওয়ের নিরাপত্তা ইনচার্জ আমিনুল হক, চাঁদপুর জি আর পি থানার অফিসার ইনচার্জ উসমান গনি পাঠানসহ সংঙ্গীয় ফোর্স।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চাঁদপুর লাকসামের রেলপথের ১৫টি স্থানে রেলপথ সুরঙ্গ করে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ স্থাপন করে বালি ব্যবসা চলছিল। এতে করে ট্রেন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি ও দূঘর্টনার আশঙ্কা দেখা দেয় এবং যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথে চলাচল করছিল। এ ব্যাপারে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারনা হওয়ায়, রেলওয়ে মন্ত্রনালয়, চট্রগ্রাম বিভাগীয় চীফ ইঞ্জিনিয়ার কামরুল আহসান ও ডি এন আবেদুর রহমান এর নির্দেশে গত বুধবার ও মঙ্গলবার দু’ দিন অভিযান চালিয়ে এ পথে অবৈধভাবে স্থাপনকৃত ১৫টি স্থানের শতাধিক ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করা হয় এবং তাৎক্ষনিক পাইপগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় রেলপথের পাশে ৫৪ কি.মি. এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত প্রায় শতাধিক দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানান। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি রেলক্রসিং মিশন রোড ও বিশ^রোড রেলক্রসিং সংলগ্ন ঘুন্টিঘর এর সাথে স্থাপনকৃত দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত শনিবার আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়।