চাঁদপুর শহরে কুকুরের উপদ্রবে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে শহরবাসী। গত ক’মাস যাবৎ শহরে কুকুরের অবাধ বিচরণ এতটাই বেড়েছে যে, মানুষ চলাফেরা করতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে কুকুরের উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে রাতের বেলা তো এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়। যারা রাতে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করেন তাদের যে কী ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তা শুধু ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারে। একই সড়কে বা স্থানে ১৫-২০টি কুকুরের একসাথে বিচরণ এবং ঘেউ ঘেউ আওয়াজে এক ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দিনের বেলা অবাধ বিচরণ কিছুটা কম দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলতে থাকে কুকুরের উৎপাত। এ সময়ে শত শত কুকুর রাস্তায় থাকে। কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে ফজরের নামাজ পড়তে মুসলি্লরা মসজিদে যেতে ভয়ের মধ্যে থাকে। সংঘবদ্ধভাবে কুকুরের দল বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়ক ও অলিগলিতে বিচরণ করতে দেয়া যায়। প্রাত ভ্রমণকারীদের হাঁটাহাঁটিতেও বিঘ্ন ঘটছে। স্কুলগামী শিশু, ছাত্র-ছাত্রী ও নারীরা কুকুরের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত থাকেন।
কিছুদিন আগে ওয়্যারলেস এলাকায় কুকুর কামড়িয়ে প্রায় ১৫ জনকে আহত করে। সরজমিনে দেখা যায়, পালবাজার ব্রিজ সংলগ্ন পোস্ট অফিস, হাসপাতাল, থানা, প্রেসক্লাব সড়ক, কবি নজরুল সড়ক (স্ট্র্যান্ড রোড), জোড় পুকুর পাড়, জেএম সেনগুপ্ত রোড, মুখার্জী ঘাট, মেথা রোড, আদালত পাড়া, গুয়াখোলা, কোড়ালিয়া রোড, প্রফেসর পাড়া রোড, বকুলতলা রোড, মমিন পাড়া, চিত্রলেখার মোড়, ছায়াবাণী মোড়, মিশন রোড, বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের পাড়া মহল্লায় দলে দলে কুকুর বিচরণ করতে থাকে। এছাড়া পুরাণবাজার মেয়র রোডসহ অন্যান্য সড়কেও কম বেশি কুকুরের উপদ্রব থাকে। রাতেই কুকুরের উপদ্রব বেশি থাকে।
বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে পৌরসভার যে কার্যক্রম তা দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না। গত কিছুদিন পূর্বে কুকুরের উপদ্রব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যায় নি। কুকুর নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে শহরবাসী মনে করেন।