প্রতিনিধি=
গতকাল রোববার বিকেল থেকে রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ছাত্রদলের দু’ গ্রুপ শহরজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় মন্দির অফিস, দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। ওয়ার্ড ছাত্রদলের দু’ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের প্রায় ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দু’ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এবং কদমতলা সড়কেও ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাংচুর চালায়। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন : শাহাদাত (১৯), নূরে আলম (২০), শরীফ বকাউল (২৬), জিলান (২১), শিপন (১৯), মেহেদী হাছান )২০) ও মাসুদ বেপারী (২১)।
জানা যায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল রোববার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের আয়োজনে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলের অগ্রভাগ জোড় পুকুর পাড় এলাকায় আসার পরই পেছনে থাকা ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ইসমাইল ও ইউসুফের সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও মিছিলে সামনে থাকা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’ গ্রুপের সমর্থকরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ফার্নিচারের দোকান থেকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে ভাংচুর করে ও ইট পাটকেল নিৰেপ করতে থাকে। সন্ধ্যার পর জেএম সেনগুপ্ত রোড ও কদমতলা এলাকায় আবার দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এ সময় তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রাত ৯টার দিকে ঐ সন্ত্রাসীদের এক গ্রুপ পালপাড়া এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তারা পালপাড়ায় শীতলা মন্দির অফিস, সুবলের কনক স্টোর, জীবন পালের আপন স্টোর, আবুল খায়ের শেখের সরকার স্টোর, রমনী তালুকদারের মুদি দোকান, জ্যোতিষ পালের মুদি দোকান, মিজানুর রহমান লিটনের বাড়ির গেইট, মান্নান মিজির বাড়ির গেইট, হারাধন দাসের বাড়ির গেইটসহ রাসত্দার পাশে থাকা বিভিন্ন বাসা বাড়ির গেইট ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। একই সময় তারা ট্রাক রোড বটগাছ তলা এলাকায়ও দোকানপাট ভাংচুর করে। এমন সন্ত্রাসী ঘটনায় ঐ সব এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পথচারীরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে।