চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ॥ ১০ মিটার এলাকার ব্লক ঢেবে গেছে
জিইও ব্যাগ-সিসি ব্লক ও কংক্রিটের মাধ্যমে সংস্কার করা হচ্ছে
শওকত আলী।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মূল হেডের শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধের উজানের ১০ মিটার এলাকায় সিসি ব্লক ঢেবে গিয়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। যার ফলে শুক্রবার দুপুর থেকে ভাঙ্গন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিইও ফেবিক্স ব্যাগ স্থাপন করে কংক্রিট দিয়ে তার উপর সিসি ব্লক স্থাপন করে শহর রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ভাঙ্গনস্থলের যেখানে ব্লক সড়ে গেছে সেখানে মেঘনা নদীতে জিইও টেক্সটাইল ব্যাগে বালি ভর্তি করে ভাঙ্গনস্থলে ফেলে রক্ষার চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। এ ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে তড়িৎ গতিতে কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
সরোজমিনে গিয়ে এ ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজমুল হক ভূঁইয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এ ভাঙ্গনের জন্য শহরবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। এ ভাঙ্গনের জন্য শত শত অপরিকল্পিত বস্তিবাসীর বসবাসই প্রধান করণ বলে তিনি জানান। কারণ ভাঙ্গনের সাথে নদীর কোন সম্পর্ক নেই। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বৃহস্পতিবার রাতে প্রাবল ঘূর্ণিঝড়ের কারনে শহর রক্ষা বাঁধে আঘাত হানে এবং ওই এলাকায় কয়েক শ’ বস্তি বাসীর ব্যবহৃত পানি জমে সে পানি শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকে প্রবেশ করায় এ ধ্বসের সৃষ্টি হয়ে ব্লক ঢেবে যায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পানি উন্নয়নবোর্ড ভাঙ্গন ও ঢেবে যাওয়া ২৫২ চেইনেজ থেকে ২৬২ চেইনেজ পর্যন্ত ব্লক ঢেবে যায়। বর্তমানে সেখানে পুরোনো সিসি ব্লক ছড়িয়ে জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপন করে কংক্রিট ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে ভাঙ্গন ও ধ্বসের স্থানে রিপারিংয়ের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। ওই স্থানে কয়েক শ’ ব্লক ও বালি ভর্তি জিইও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চলছে। ভাঙ্গনস্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুল করীম ও ঠিকাদার মনির হোসেনের মাধ্যমে অর্ধশত শ্রমীকদের দিয়ে দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভাঙ্গনস্থানে বসবাসকৃত শত শত এলাকাবাসী ভয় ও আতংকে তাদের বসত ভিটা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া অভিযোগ করে জানান, এখানকার বস্তিবাসীদেরকে পরিকল্পিত ভাবে বসবাসের যোগ্য না করলে শহর রক্ষা বাঁধে এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটতে পারে।