শওকত আলী,
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের কিছু অংশে হঠাৎ বড় ধরনের ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে শহর রক্ষা বাঁধের বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় হঠাৎ এ ধস নামে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ২টা) পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ঘটনা না ঘটলেও বিভিন্ন স্থানে ব্লক ঢেবে যাচিছল।
ঘূর্ণিঝড় রোহানু’র প্রভাব ও মৌসুমী বৃষ্টিপাতে অতিরিক্ত পানির চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান। এছাড়া স্থানীয়রা বাঁধ এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করায় পানি প্রবাহিত হয়ে এ ধরনের ব্লক ধসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত এলাকা বাসিদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচেছ।
এদিকে শহর রক্ষা বাঁধে ধসের খবরে ওই এলাকায় বসবাসরতরা আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে দিদ্বিগিক ছুটোছুটি শুরু করে। খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি তাৎক্ষণিক ধস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
শহর রক্ষা বাঁধে ধসের ঘটনায় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, মোলহেড এলাকার পাশের বস্তিতে বসবাসরত লোকজন তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে ড্রেন নির্মাণ করে। ঘূর্ণিঝড় রোহানু ও গত কয়েক দিনের মৌসুমী বৃষ্টিপাতে ওই ড্রেন গুলো দিয়ে বেশি পরিমাণে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এ কারণে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের বড়স্টেশন (জাকের পার্টির জেলা কার্যালয়ের পেছনের অংশে) ১শ মিটার এলাকায় ব্লক ও মাটি প্রায় ৫ মিটার ঢেবে যায়।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরো জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় বালিভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ মজুদ রয়েছে। রাত পোহালেই ধসের স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। শুধু তাই নয় ছোট-খাট ধস মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, শহর রক্ষা বাঁধে ধসের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে পাউবো’র কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, শহরবাসীর এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সঙ্কট মোকাবেলায় পাউবো’র সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তারপরও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটির সুরক্ষায় জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে।
শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল হাই, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) লিটুস লরেন্স চিরান প্রমুখ।