স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের চাঁদপুর সেতু ও বাগাদী চৌরাস্তায় রাতের আঁধারে বহিরাগতদের আনাগোনা করতে দেখা যায়। এরা দু’টি স্থানে রাত ১টা দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করে থাকে। সেতু এলাকায় বিনোদনের জন্যে ভদ্র পরিবারের ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে আসা লোক ছাড়াও চাঁদপুরের বাইরের কিছু বহিরাগত যুবক চাঁদপুর সেতুসহ বাগাদী চৌরাস্তায় আনাগোনা করে থাকে। স্থানীয় লোকজন এদের জিজ্ঞেস করলে তাদের লোক পেছনে রয়ে গেছে, তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে এসব কথা বলে থাকে। প্রকৃত পক্ষে এদের কথা কতটুকু সত্য তা কেউ যাচাই করে দেখেনি। পরে লোকজন তাদের নিকট থেকে চলে যায়। রাত গভীর হয়ে আসলে ঐ সকল যুবক চুরি, ছিনতাই ও মাদক পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর ঐ সকল চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় আশপাশের বাড়ির লোকজনকে দায়ী করে হয়রানি করে থাকে পুলিশ। প্রকৃত পক্ষে বহিরাগত যুবকরাই চাঁদপুর সেতু এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। ঘটনা ঘটার পর ঐ সকল যুবক চাঁদপুর সেতু ও বাগাদী চৌরাস্তায় কিছু দিনের জন্যে আসা বন্ধ রাখে। ১/২ মাস পর তারা পুনরায় এসে থাকে। যার অপকর্মের জন্যে দায়ী হতে হয় চাঁদপুর সেতু এলাকা ও বাগাদী চৌরাস্তা বাজারের আশপাশের লোকজনকে। এ ব্যাপারে বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী পাঠান জানান, রাতের বেলায় চাঁদপুর সেতু এলাকা ও বাগাদী চৌরাস্তায় বহিরাগত যুবকরা আড্ডা মেরে থাকে। আর সেতুতে আসা ভদ্র নারীরা হয় হয়রানির শিকার। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে নারীদের সাথে খারাপ আচরণ করাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে গাছতলা এলাকায়।
চৌরাস্তা বাজার উজ্জীবন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন খান, প্রকল্প পরিচালক নাছির কবিরাজ, বাগাদী গ্রামের শাহাদাত হোসেন গাজী (বাবু), চৌরাস্তা বাজার ব্যবসায়ী কবির পাটওয়ারী, রেদোয়ান রাজা, দেলু পাটওয়ারী জানায়, রাত ১০টার পর হতেই বহিরাগত কিছু লোক গভীর রাত পর্যন্ত আনাগোনা করে থাকে। কি জন্যে এসেছে তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসাসহ চুরি, ছিনতাইয়ের সাথে এরা জড়িত।
বাগাদী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি হাফেজ হাছান খান ও সেক্রেটারী মাওঃ জাকির হোসেন (হিরু) জানান, অপরাধীরা যে কেউ হোক তাদেরকে চিহ্নিত করে আটক করা প্রয়োজন। আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাবো। চাঁদপুর ওয়ারলেছবাজার এম কে ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম পাঠান জানান, রাতে প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকায় যাওয়ার সময় চাঁদপুর সেতুতে বহিরাগত যুবকদেরকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এরা আমাদের পরিচিত কেউ না। সেতু এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন অপকর্ম ঘটার সাথে এরাই জড়িত। আর ঐ সকল অপকর্মের দায়ভার গিয়ে পড়ে সেতু এলাকায় থাকা ইসলামপুর গাছতলা ও নিজ গাছতলা গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর। ঈদের সময় সেতুতে এক নারীকে ইভটিজিং করে বহিরাগত যুবকরা। যার দায়ভার চাপানো হয় পাঠান বাড়িসহ আশপাশের যুবকদের উপর। রিক্সা চালক শফিক জানায়, অনেক রাতে যখন সেতু দিয়ে যাই তখন ভয় পাই। সেতুর উপরে ভ্যান চালক ও রিক্সা চালকদের টাকা নিয়ে গেছে বেশ ক’বার। অনেক রাত পর্যন্ত অপরিচিত লোকজনকে এখানে দেখি।
সিএনজি স্কুটার চালক মনু জানায়, রাতে যখন গ্যাস ভর্তি করে খালি গাড়ি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে যাই তখন কিছু যুবক দাঁড়িয়ে থাকে। ভয়ে ভয়ে যাই। এরা এতো রাত কি করে জানি না। মনে হয় চুরি, ছিনতাই ও মাদকের জন্যে বসে থাকে। না হলে দূরের লোকজন বাগাদী, চৌরাস্তা বাজার ও সেতুতে কী জন্যে আসে।