চাঁদপুর-চট্টগ্রামের চলাচলকারী যাত্রীবাহী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২ দিন যাবত কম্পিউটারটি বিকল হয়ে আছে। যাত্রীদেরকে গত ২ দিন যাবত হালে লিখা কাগজের টিকেট দেওয়া হচ্ছে। আর এ সুযোগে টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরত বুকিং সহকারী প্রতি টিকেটে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা ও কোন যাত্রী থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত সোম ও মঙ্গলবার ২ দিন যাবৎ চাঁদপুর স্টেশনের কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে টিকেট দিতে পাচ্ছে না দায়িত্বরত রেলওয়ের বুকিং সহকারী কর্মকর্তারা। খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর স্টেশনের কম্পিউটারটি হঠাৎ করে গত রবিবার রাত ২ টার দিগে বিকল হয়ে যায়। যার ফলে যাত্রীদেরকে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতির টিকেট দিতে পারেনি রেলওয়ের চাঁদপুরস্থ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেলওয়ে ছাপানো কাগজের টিকেট হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছিল গত ২ যাবৎ। এতে করে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে। অপর দিকে অসংখ্য যাত্রী কম্পিউটার বিকল থাকায় মেঘনা আন্তঃনগর ট্রেনে না গিয়ে বাসে চট্টগ্রাম যাত্রা করে। এতে করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরদিকে গত ২ দিন চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে মেঘনা এক্সপ্রেস যোগে প্রায় ৬ শতাধিক যাত্রী বৈধভাবে টিকেট করে যাত্রা করেছে। এছাড়া কম্পিউটার বিকল হওয়ায় টিকেট বিহীন অসংখ্য যাত্রী চট্টগ্রাম যাত্রা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে অন্যান্য যাত্রীদের। এ সুযোগে চাঁদপুরের দায়িত্বরত বুকিং সহকারী শাহজাহান যাত্রীদের কাছ থেকে সুলভ শ্রেণির টিকেট ১শ’ ৫০ টাকার স্থলে ২শ’ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। যাত্রী খোকন প্রধান জানান প্রথম শ্রেণির টিকেট ২শ’ ৪০ টাকার স্থলে তার কাছ থেকে ৩শ’ টাকা নিয়েছে কর্তব্যরত বুকিং সহকারী। এছাড়া শোভন চেয়ার শ্রেণির টিকেট ১শ’ ৮০ টাকার স্থলে ২শ টাকা নিয়েছে বলে যাত্রী আজমল হোসেন জানিয়েছেন। সে ১ হাজার টাকার একটি নোটের বিপরীতে ৩ টিকেট ক্রয় করলে তাকে ৪শ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অপরদিকে সোমবার দিনের বেলা কালোবাজারে যারা টিকেট ক্রয় করে নিয়েছে, তারা সেসব টিটেক রাতের বেলা যাত্রীদের কাছ থেকে চওড়া দামে টিকেট বিক্রি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।